রাজনীতির খবর: করোনাভাইরাসের কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১৪ দল।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম জানান, জনসমাগম এড়িয়ে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তরিকত ফেডারেশনের অফিসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে ১৪ দল। ২০ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাঙালি জাতি সাহসী জাতি। যে কোনো দুর্যোগে বাঙালি ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা বিশ্বাস করি, আতঙ্কিত না হয়ে আবারও আমাদের সাহসের সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
এ সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ এবং আন্তরিকতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের দেশে আসা নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, বিদেশে যারা আছেন আপাতত আপনারা সেই দেশের সরকারের পরামর্শ ও পদক্ষেপ অনুযায়ী সেখানে থাকেন। কারণ ব্যাপক হারে প্রবাসীরা দেশে আসলে জনগণের মধ্যে কিছুটা হলেও আতঙ্ক সৃষ্টি হবে।
বিমানবন্দরে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের আরও সতর্কতার সঙ্গে স্ক্যানিং করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ তারা যদি দেশে এসে মানুষের সঙ্গে মিশে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের মধ্যে কোনো ভাইরাসের জীবাণু থাকে, তাহলে সেটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকবে।
মানুষের দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা পরিহার করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানায় ১৪ দলীয় জোট। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, সেসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে বিমানবন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও জোরালো করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদি লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।