সাতক্ষীরা

জামালপুরের ডিসিকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি কতদূর?

By Daily Satkhira

March 16, 2020

দেশের খবর: নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর। তারপর প্রায় ছয় মাস হয়ে এলেও উপসচিব পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা এখনও ওই অবস্থায়ই আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পর তদন্ত কাজ এখনও চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সেই তদন্ত কত দিনে শেষ হবে, এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না তারা।

এরই মধ্যে কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সুলতানা পারভীন কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বলে সাংবাদিক আরিফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডিসি সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সিচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) মো. মনির উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান আছে। এখনও তদন্ত চলছে।’

কতদিনে তদন্ত কাজ শেষ হবে- জানতে চাইলে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ পড়ে দেখুন, সেখানে সবকিছু আছে। বিধিমালায় সব বলা আছে। সময় বেধে দেয়ার কিছু নেই, তবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে হয়।’

কে তদন্ত করছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ফাইল না দেখে বলতে পারব না। তবে তার চেয়ে সিনিয়র কোনো কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।’

গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২২ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওএসডি হওয়া জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে উদাহরণ সৃষ্টির মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো পানিশমেন্ট তার (আহমেদ কবীর) হবে। আমাদের চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়ে গেছে। সেটিই হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

পরে ২৫ সেপ্টেম্বর আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়।