স্বাস্থ্য/দেশের খবর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চার চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারা আউটডোর বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা সাধারণত নিয়মিত ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়ার রোগী দেখতেন।
সম্প্রতি ঢামেকে চারজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়ায় তাদের কুয়েত মৈত্রী ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকরা। পরে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় তাদের করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ চিকিৎসকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেকের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি নিয়ে প্রচুর রোগী প্রতিদিন আসছেন। এদের মধ্যে তিন থেকে চারজন রোগীর বক্তব্য শোনার পর তাদের ঢামেকের বাইরে সরকারের বরাদ্দ করা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই রোগীদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তাদের যেসব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চারজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চারজনই ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক।
এদিকে বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও অধ্যাপকদের দেড় ঘণ্টাব্যাপী একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চিকিৎসকদের নিজ নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে ঢামেকের এক অধ্যাপক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সামান্য জ্বর-কাশি হলে হাসপাতালে না এসে ঘরে থেকে পর্যবেক্ষণ করুন। যদি এর সাথে শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে সরকার নির্ধারিত চারটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিন।