জাতীয়

মহাসড়কে যানজটের সঙ্গে রেল বিপর্যয়, অতিষ্ঠ ঘরে ফেরা মানুষ

By Daily Satkhira

September 11, 2016

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদ-উল-আযহায় বাড়ি ফেরা মানুষ নিয়ে যাওয়া যানবাহনের ভীড়ে যানজট রয়েছে এখনো চরমে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ রোববারও টানা চতুর্থ দিনের মতো যানজট রয়েছে। তীব্র জ্যামের কারণে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তর বঙ্গের ১৭টি জেলাসহ মোট ২৪টি জেলার গাড়ি দুই লেনের এই রাস্তায় চলাচল করছে। অন্যদিকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়ার রুটের গাড়িও চলাচল করছে একই রাস্তায়। সকাল থেকেই গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় মাঝে মাঝেই মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী গাড়ির চাপ কিছুটা কম হলেও ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ির চাপ বেড়েছে। চন্দ্রা প্রবেশের মুখে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে চন্দ্রা থেকে সাভারের বাইপাইল ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির সাড়ি ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মির্জাপুর বাইপাস এলাকা থেকে গোড়াইয়ের ক্যাডেট কলেজ এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। ওই সময় ওই জায়গাটিতে ঢাকামুখী যান চলাচল পুরোপুরি থেমে ছিল। তবে টাঙ্গাইলগামী যানবাহন থেমে থেমে চলছিল। মহাসড়কে যাত্রাপথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে। এসব গাড়ি সরিয়ে রাস্তা খালি করতেও যথেষ্ট সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া ধেরুয়া রেলক্রসিং দিয়ে ট্রেন চলাচলের সময় বারবার যানবাহন থেমে থাকতে হচ্ছে। এতে যানজট বাড়ছে আরও বেশি। বিকেলের দিকে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন। তবে ঘরমুখী যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরার তাড়ায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছে হাজার হাজার যাত্রী। কিন্তু বিমানবন্দর স্টেশনে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা ট্রেনগুলো। এই শিডিউল বিপর্যয় আজ সারা দিনেও কেটে ওঠা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে সন্দিহান রেলওয়ে কর্মকর্তারা। পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আর এরপরই কমলাপুর স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো ধীরে ধীরে ছাড়তে শুরু করে।