আসাদুজ্জামান: করোনো ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকেই সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে গঠিত টিম। ইতিমধ্যে জেলায় সকল গণজমায়েত নিষিদ্ধ ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় বিদেশ ফেরত তিন জন হোমকোষারেন্টাইনে না থাকায় তাদের ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া করোনো ভাইরাসকে ইস্যু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৪৫টি অভিযানের মাধ্যমে তাদের ২লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে শাস্তি আওতায় আনা হয়েছে। সীমান্তেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে দুই ঘন্টা ব্যাপী জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে সংবাদিকদের সাথে এক জরুরি মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় জেলা করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিনসহ অন্যান্যরা তাদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ব্যাপকহারে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়। জ¦র-সর্দি-কাশিসহ সংশ্লিষ্ট উপসর্গ থাকলে তাদের মসজিদে নামাজ না পড়তে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। সচেতন হয়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারলে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এই মহামারী থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।