আন্তর্জাতিক

করোনা আতঙ্কে ভারতের কারাগার রণক্ষেত্র, পুলিশের গুলিতে নিহত ১

By Daily Satkhira

March 21, 2020

বিদেশের খবর: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে ভারতের একটি কারাগারে বন্দি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় একজন নিহত হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ওই বন্দির পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েই ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া এ ঘটনায় আরও ৯জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এমন খবর পেতেই ট্রায়ালে থাকা বন্দিরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

শনিবার বন্দিদের প্যারোলে ছাড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সকাল থেকেই কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কারাগার।

আনন্দবাজার জানায়, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কারাগারের একটা বড় অংশের দখল নিয়ে নেয় বন্দিরা। জেলের ভেতরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি মই এনে পাঁচিল টপকানোর চেষ্টা করছেন কোনো কোনো বন্দি।

তবে সংঘর্ষের সময় কেউ পালিয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জেলের যে অংশের দখল নিয়েছেন বন্দিরা, সেখানে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ হচ্ছে বাইরে থেকে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, পুলিশকে শূন্যে গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বন্দিদের পক্ষে থেকে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে জেলরক্ষীদের বিরুদ্ধে।

বন্দিদের পরিবারের দাবি, কারারক্ষীরা জেলের ভেতরে বন্দিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ।

যদিও জেল দফতরের কর্মকর্তারা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা লাঠিচার্জ করেছেন।

সূত্রের বরাতে খবরে আরও বলা হয়, বন্দিদের একাংশ তালা ভেঙে দা-কুড়ুলের মতো কিছু ধারালো অস্ত্র জোগাড় করেছে। বাহিনী ঢুকলে সেই সব অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওয়ার্ডের মধ্যে বন্দিরা একটি গ্যাস সিলিন্ডারও নিয়ে গেছে বলে জেল সূত্রে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, জেলের ওয়ার্ডে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছেন বন্দিরা। ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন পৌঁছেছে।

বন্দিদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন কারা দফতরের কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে কারা দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারাও জেলে পৌঁছেছেন।