ভিন্নরকম সংবাদ: গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এতে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ জন, মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫০ জন। সারাবিশ্বে অন্তত ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে করোনামুক্ত হয়েছেন।
এদিকে, এ ভাইরাসের কড়াল থাবায় এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ হাজার ৮৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ৩৪৮ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। এমন সঙ্কটময় মুহূর্তে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের সেচ্ছাসেবীরা। তেমন একজন নাতাশা ওট (৩৯)। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ ওরলিন্সের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ওই সমাজকর্মী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার বন্ধু জশ অ্যান্ডারসন ফেসবুক পোস্টে বলেন, নাতাশার স্বাস্থ্য ভালো ছিল। বৈশ্বিক মহামারীতে আক্রান্ত অন্যদের তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজেকে, প্রিয়জনকে এবং সবাইকে নিরাপদ রাখার সময় এখনই। কিন্তু গত ১০ মার্চ তার শরীরে সর্দির লক্ষণ দেখা দেয়।
এটি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত ঠাণ্ডা ও কিছুটা জ্বরও বলে নিজের ছেলেবন্ধুকে জানান ওই সমাজকর্মী। নিজের কর্মস্থলেই তিনি করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে পারতেন, কিন্তু সেখানে মাত্র পাঁচটি কিট অবশিষ্ট ছিল।
নিজের ঝুঁকি বেশি না বলে মনে করে অতিঝুঁকিপূর্ণ লোকদের জন্য তিনি কিটগুলো ছেড়ে দেন। পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ফ্লুর পরীক্ষা করলে তাতে নেগেটিভ আসে।
শুক্রবার ছেলেবন্ধুকে বার্তা পাঠিয়ে সে জানায়, আমি মনে করছি না যে আমার কোনো পরীক্ষা লাগবে, যদি না আমার জ্বর আসে। সব কিছুই ভালো যাচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিনে তিনি ক্লান্ত হয়ে যান এবং তার জ্বর আসে।
অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের কিট সুরক্ষার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ফ্লু ভাইরাস তাকে আক্রান্ত করেছে কিনা; সেই অপেক্ষায় ছিলেন এই এইচআইভি কাউন্সেলর।