শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রত্যেকদিন নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। অনিয়ম করলেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জলপাইকে লিকুইড গোল্ড বা তরল স্বর্ণ বলা হয়। জলপাইয়ের তেলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিড। জলপাই শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জলপাইয়ের তেল রাখা ভালো।
যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
কালো জলপাই আয়রনের বড় উৎস। এটি রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল। আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে। নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
জলপাই সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। জলপাই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে জলপাই। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ প্রয়োজন হয় তার দশ ভাগের এক ভাগ সহজেই পাওয়া যায় এক কাপ কালো জলপাইয়ে। এই পরিমাণ ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ভিটামিন ‘এ’র অভাব হলে রাতকানা রোগ দেখা দিতে পারে। গ্লুকোমাসহ চোখের অন্য সব রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য ভিটামিন ‘এ’ দরকার। সূত্রঃ ফেমিনা।