অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে নতুন করে আরও চারজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই পাঁচজন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শুক্রবার সকালে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক। রোগীর সংস্পর্শে এসে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি।
উহান থেকে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইতোমধ্যে ১৯৮টির মতো দেশ ও অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাইরাসটি। এসব দেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যাও পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় আইইডিসিআর। এরপর আরও ৪৪ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা যায়। গত ২৪ ঘণ্টার দেশে নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হয় আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। আইইডিসিআর-এর সংবাদ সম্মেলনে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন করে যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে দুইজন ঢাকার আর দুইজন ঢাকার বাইরের।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আগে যারা বিদেশ থেকে দেশে এসেছিলেন এবং যারা তাদের সংস্পর্শ এসেছিলেন তাদের নমুনা করা হয়েছিল। এখন তাদের ছাড়াও যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।