ডেস্ক রিপোর্ট : করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ ও আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন দিনভর। ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। নিত্যপণ্যের দোকানের সামনে ক্রেতা সাধারণকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে দেওয়া হচ্ছে মার্ক করে। এছাড়া চিকিৎসকদের সুরক্ষায় ১৮ হাজার মাস্ক এবং ৭৫টি পিপিই প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসি ল্যান্ড ও সহকারী কমিশনারবৃন্দ করোনো প্রতিরোধের যুদ্ধে ছুটছেন দিন-রাতের পার্থক্য ভুলে। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, করোনো যুদ্ধে জয়ী হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সকলে ঘরে থাকুন। এতে কমিউনিটি সংক্রমণের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এদিকে, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম লোক সমাগম নিরুৎসাহিত করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের তদারকিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। একইভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজাহার আলী এবং ইন্দ্রজিৎ সাহা সাতক্ষীরা শহর, ঝাউডাঙ্গা, আলীপুর থেকে বাদামতলা হয়ে ভোমরা পর্যন্ত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল আমিন দেবহাটা উপজেলায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন এবং উম্মে মুসলিমার নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা রোড হতে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত ও সার্কিট হাউজ হতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। আশাশুনিতে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ইউনিয়নে জীবাণুনাশক স্প্রের ধারা অব্যাহত আছে। শ্রীউলা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা গোল বৃত্ত চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
তালা উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলোর সামনে সাদা দাগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি না করেন সে জন্য তাদের সতর্ক করাসহ সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে। কলারোয়ায় জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া কলারোয়া গরু হাটসহ কলারোয়া বাজার, দমদম, সোনাবাড়িয়া, বুঝতলা ও গয়ড়া অভিযান চালানো হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলায় টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। জীবাণুনাশক দিয়ে পুরো উপজেলা ধুয়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ নিরাপদ দূরত্বে থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। শ্যামনগর উপজেলায় বাজারগুলোতে প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা দাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। #