দেশের খবর: ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের নির্দেশে তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। রবিবার (২৯ মার্চ) তাদের রক্ত-কফসহ অন্যান্য নমুনা নেওয়া হবে। পরীক্ষার পর জানা যাবে তারা আসলেই নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭নং চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান নদীপাড়ার বাসিন্দা ও ঢাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এবং তার পরিবারের ৪ সদস্যকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের নির্দেশে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষণগুলো নিয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের আইসিইউ সাপোর্ট দরকার হতে পারে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, আইইডিসিআরের একটি টিম এই মুহূর্তে রংপুরের পীরগঞ্জে রয়েছে। তারাই ৫ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তারা নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, পরিবারের এক সদস্য করোনা পরিস্থিতির কারণে ৫ দিন আগে ঢাকা থেকে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এসেছে। ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই তারা জ্বর ও সর্দিতে ভুগছেন। শনিবার থেকে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং সে নিজে হটলাইন নম্বরে ফোন করেন। পরে বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুরোধে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের একটি টিম বিশেষ সতর্কতায় ওই যুবকসহ তার পরিবারের ৫ জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।