আন্তর্জাতিক

লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

By Daily Satkhira

September 11, 2016

ডেস্ক রিপোর্ট: সারা বিশ্বের ২৫ লাখ মুসলমানের ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র আরাফাত ময়দান। হাজিদের উদ্দেশ্যে দুপুরে শেষ হয়েছে দিক নির্দেশনা মূলক খুতবা পাঠ। আর এখন চলছে বিশ্ব শান্তি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে হবে মোনাজাত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখো মুসল্লি মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আলামিনের দরবারে এভাবেই জানান দিচ্ছেন নিজের উপস্থিতি। বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ দুই হাজার হাজি ওখানে রয়েছেন। ১৯৮১ সাল থেকে আরাফাতের মসজিদে নামিরায় খুতবা পাঠ আসছিলেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ। তবে এবার অসুস্থতার কারণে তার বদলে খুতবা পাঠ করেছেন সৌদি আরবের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের চেয়ারম‌্যান সালেহ বিন হুমাইদ। আরবি আরাফাত শব্দের অর্থ পরিচিতি। পবিত্র এই ময়দানেই প্রথম মানব আদম আলায়ে হিস সালাম এবং হাওয়া আলায়ে হাস সালামের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ইহলোকের সব চাওয়া পাওয়া ভুলে পাপ মুক্তির আকুল প্রার্থনা নিয়ে মুমিন মুসলমানরা এখন এই আরাফাতের ময়দানে। আরাফাতের জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে আদম হাওয়ার পরিচয় হয়েছিল তার পাদদেশে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম। সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতিবছর আরাফাতে হাজির হন লাখো মুসল্লি। এক নাগাড়ে হাটা আর সকাল থেকেই প্রচন্ড রোদে অনেক হাজি অসুস্থ আর ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তবে লাখ লাখ হাজির চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে আরাফাতের এই মাঠে। তাছাড়া পরিবেশ ঠান্ডা রাখার জন্য বিস্তৃর্ণ এই মাঠে বৃষ্টির মতো কৃত্রিমভাবে ঠান্ডা পানি ছিটানো হচ্ছে। হাজিদের ছায়া দিচ্ছে হাজার হাজার নিম গাছ। হজের আনুষ্ঠানিকতার মূল অনুষঙ্গ পবিত্র এই আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বারে দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করেন সৌদী আরবের গ্রান্ড মুফতি। তার আগে দল বেধে নিজেদের মধ্যে খন্ড খন্ড বয়ান। সেই সব বয়ানে মূলত হজের তাৎপর্যের পাশাপাশি মানুষকে বেশি বেশি খোদা ভিরু হতে বলা হচ্ছে। দিক নির্দেশনামূলক খুতবা শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে মোনাজাত হয়েছে। এর পর জোহর ও আসরের মাঝামাঝি সময়ে আরাফাত ময়দানেই এক সঙ্গে সকল হাজি আদায় করেছেন নামাজ। সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত পবিত্র এই ময়দানেই চলবে হাজিদের ইবাদত বন্দেগী। হজের নিয়ম অনুযায়ী সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হাজিরা রওনা হবেন পরবর্তী গন্তব্য মুজদালিফার দিকে। আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও এর আশে পাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন আছে লাখেরও বেশী নিরাপত্তাকর্মী।