স্বাস্থ্য ডেস্ক: যদি কেউ নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত না হন এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত কোনো রোগীর সেবা ও পরিচর্যা না করে থাকেন, তাহলে সেসব মানুষকে মাস্ক না পরার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘের এই অঙ্গসংগঠনটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা সোমবার অর্থাৎ ৩০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন।
সংস্থাটির জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান সোমবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণহারে মাস্ক পরার কারণে সম্ভাব্য কোনো সুবিধা রয়েছে বলে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, মাস্কটি সঠিকভাবে পরা বা সঠিকভাবে ফিট করার অপব্যবহারের কারণে বিপরীতে কিছু হওয়ারই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মাস্ক ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে মাইক রায়ান আরও বলেন, এছাড়া আরও একটি বিষয় হলো, বৈশ্বিকভাবে এসব সরঞ্জামের ব্যাপক এক সংকট দেখা দিয়েছে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মী সামনে থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কাজটি করছেন, বর্তমানে তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। কেননা তারা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসছেন। তাদের মাস্ক না থাকার বিষয়টি ভয়াবহ।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মারিয়া ভ্যান কারকোভ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমরা তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টিতেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। তারা হলেন, সামনে থেকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মী।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়সেসও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ডা. মারিয়া ভ্যান আরও বলেন, কমিউনিটির মানুষজনকে আমরা মাস্ক পরার সুপারিশ ততক্ষণ পর্যন্ত করবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অসুস্থ না হন। কেননা শুধু অসুস্থ হলেই আপনার মাধ্যমে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করবে। আমরা তাদেরকেই মাস্ক পরার সুপারিশ করবো যারা অসুস্থ এবং যারা অসুস্থদের সেবা দিচ্ছেন।