দেশের খবর: কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম রাহাতুল ইসলামসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে আরিফুল গত ১৯ মার্চ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার প্রতিনিধির মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহারটি জমা দেন।
১৩ মার্চ মধ্যরাতে আরিফুলকে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধরসহ জেল ও জরিমানা করা হয়।
এ ঘটনায় হাইকোর্ট আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ ও বর্বর নির্যাতনের অভিযোগে দাখিল করা এজাহারটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান জানান, হাইকোর্টের আদেশের কপি মঙ্গলবার হাতে পেয়ে মামলা রেকর্ড করে বুধবার কোর্টে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রাজু সরকার (ওসি-তদন্ত) জানান, সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুপার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মামলার আসামিদের সম্মানের কথা বিবেচনায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, আদালতের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিলাম, সরকার ও আদালত আমার ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে যথেষ্ট সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে এ মামলা রেকর্ড করা হলো। এখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি।