বিদেশের খবর: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫০ হাজার ২৩০ জন। আর শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। দুটি সংখ্যাই হু হু করে বাড়ছে। কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা কেউ বলতে পারছে না।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ইতালি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯১৫ জন। প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন, ১০ হাজার তিন জন। এরপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে মারা গেছেন চার হাজার ৩২ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে করোনার উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ২৮৭ জনের। মৃতের সংখ্যায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইরানে মারা গেছেন তিন হাজার ১৬০ জন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৯২১।
তবে করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যার দিকে দিয়ে এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ৭২২ জন। এরপরই আছে ইতালি, এক লাখ ১৫ হাজার ২৪২ জন। রোগী শনাক্তের দিক থেকে এরপর আছে স্পেন, এক লাখ ১০ হাজার ২৩৮। চতুর্থ স্থানে থাকা চীন (৮২,৪৩১), জার্মানি (৮১,৭২৮) ও ফ্রান্স (৫৭,৮০৭)। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৬৮।
এদিকে বাংলাদেশেও গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মধ্যে এই ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। আর মারা গেছে ছয়জন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে। করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।