নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকার যেখানে বলেছে বাড়ি বাড়ি খাদ্য পোঁছে দেওয়ার কথা সেই কথা মানছেন না সাতক্ষীরা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সেলিম জনসমাগম করছেন ত্রান দেওয়া জন্য শনিবার সকালে কাটিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে সরকারি ত্রান বিতরনে সময় জনসমাগম সৃষ্টি করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলার সেলিম হত দরিদ্রদের মাঝে ত্রান বিতরন করায় করোনা ভাইরাস সংক্রামন আশঙ্কায় ভূগছেন স্ব স্ব এলাকার জনগন।সাহায্যের নামে সরকারী ঘোষনা উপেক্ষা করে নিয়ম ভেঙ্গে জনসমাগম ঘটিয়ে ত্রান বিতরনের ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে বাহবা কুড়ানো সহ সরকারের সু নজরে আশার এ অভিনব কৌশলে এলাকায় মরনঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল। এপ্রিলের ১ম দুই সপ্তাহ করোনা ভাইরাস বিস্তারের পিক টাইম হওয়ায় সরকার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সহ স্থানীয় প্রশাসন কে আরো কঠোর অবস্থানে গিয়ে দ্বায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। শুকবার রাতেঝুটিতলার মোড়ে ও শনিবার সকালে কাটিয়া নবনূর প্রাথমিকবিদ্যালয়ে এই ৭/৮শত লোকের জনসমাগম করে ত্রান বিতরন করায় সমালোচনার জন্ম দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলার সেলিম।সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি হয়েও কেনো তিনি এই জনসমাগম করলেন তায় নিয়ে উদাসীন কাজে বিরুপ মন্তব্যের জোয়ারে ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গোপনে কয়েকটি গ্রামের বিত্তবানেরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে(অন্তত ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখা)ব্যাক্তিগত এান বিতরন করায় জনসাধারনের মধ্যে করোনা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এান নিতে আসা পৌর কাটিয়া এলাকার বাসীন্দা আব্দুল খালেক জানান সকাল ধরে বসে আছেন অনেক মানুষ। কিন্তু কাউন্সিলার কখন আশবেন সেটা জানিনা। অনেকের ত্রান না পাওয়ার ও অভিযোগ আছে। বয়োজেষ্ঠদের জনসমাগম ঘটিয়ে এান বিতরনে করোনা ঝুঁকি বাড়বে বলে জানান স্থানীয় চিকিৎসক বাবু। জনস্বার্থে এান সামগ্রী বিতরনকারী দের সরকারী নিয়ম-কানুন মেনে,সম্ভব হলে ফাঁকা মাঠে বিতরন বা বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।এানের বিনিময়ে এলাকায় মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার চায়না পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সুশীল সমাজ সহ সচেতন জনসাধারন জানিয়ে,সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানান আমাদের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আজাহার আলী ত্রান বিতরনস্থলে কাটিয়া এলাকায় উপস্থিত হয়ে তিনি ত্রান বিতরণকলে সেখানে অনিরাপদ জনসমাগম হওয়ার কারনে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ত্রান বিতরণ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অনুরোধ করেন এবং তালিকা অনুযায়ী উপকারভোগী ব্যক্তিদের বাড়িতে ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এভাবে জনসমাগম করে ত্রান বিতরণ না করে তালিকা প্রস্তুত করে বাড়ি বাড়ি ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এই বিষয়ে সাতক্ষীরা বেষ্টটিম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন আমি শুকবার রাতে আমার টিম নিয়ে আমি গিয়েছিলাম পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে। সে বলেন চলছে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ঝুটি তলার মোড়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রক্রিয়া। বেস্ট টিম সাতক্ষীরার অনুসন্ধানী ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ল ৭/৮ শত লোক জনসমাগম দৃশ্য। সেখানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জোৎসা আরা। অসঙ্গতির কিছু চিত্র আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরছি। প্রশাসনের তরফ থেকে বার বার বলা হয়েছে যে, এই ধরনের ত্রান বা খাদ্য কর্মসূচি বিতরনের প্রকল্প হাতে নিলে প্রশাসনের সহযোগিতায় সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু প্রশাসনের কোন কমকর্তা বা সদস্য উপস্থিত ছিলেন না । সর্বপ্রকার জনসমাগম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও প্রশাসনের এই আদেশ কে উপেক্ষা করে এই দুইজন কাউন্সিলার সেখানে ঝুটি তলার মোড়ে ৭/৮শত অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন সেখানে হাজির করলেন সেই বিষয়টি বোধগম্য নয়। দিনভর চলছে প্রসাশনের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে মাইকিং তার পর ও জনপ্রতিনিধি জনসমাগম করছেন। যখন জুটি তলা ক্রস করছিলাম তখন দেখা যায় আর একটি ভিন্ন চিত্র। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা কে কেন্দ্র করে জ্যোৎস্না আরার সাথে গন্ডগোল হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার। জেলা প্রশাসক বারবার বলছেন সকলের বাড়ির দুয়ারে গিয়ে নীরবে নিঃশব্দে খাবারগুলো পৌঁছে দেয়ার কথা, সেখানে কেনো? তারা পৌরসভার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই দুজন কাউন্সিলার এত বিপুল পরিমাণ লোক জনসমাগম সেখানে করলেন এই বিষয়টি এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই সব বিষয় ওয়ার্ড কাউন্সিলারের ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিচিভ করে ব্যস্ত আছেন বলে কলটি কেটে দেন।