আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের পলাশপোল সবুজবাগ তার বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষর সন্ত্রাসীরা এ হামলার চালায়। এতে আহত হয়েছেন সাবিনা খাতুন, তার বোন সালমা খাতুন ও বাবা সৈয়দ আলী। বোন সালমা খাতুনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাদালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সবুজবাগ এলাকার ইমন হোসেন ও লতা বেগম নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এমামলার অপর আসামীরা হলেন, জাফর গাজী ও সোহান গাজী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহরের জজকোট সংলগ্ন সবুজবাগ এলাকায় জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাবিনা খাতুনের বাড়ির সামনে এসে পারিবারিক শত্রতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী ইমনের নেতৃত্বে উক্ত চার জন দেশীয় অস্ত্র (ধারালো দা), রড ও লাঠি সোটা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। এতে সাবিনার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাদের নিষেধ করলে তারা তাকে কিল,চড় ও ঘুষি মেরে ফুলা জখম করে। এরপর সাবিনা ও সালমা তার বাবাকে ঠেকাতে আসলে তারা তাদের উপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা সালমার মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারলে তারা মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের আতœচিৎকারে স্থানীরা এসে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাবিনা ও তার বাবা সৈয়দ আলী বাড়ি ফিরলেও তার বোন সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় রাতেই সাবিনার বোন শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে উক্ত চার জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##
০৬.০৪.২০