কালিগঞ্জ

ভারত ও শরিয়তপুর থেকে বাড়ি ফিরে কালীগঞ্জের দু’ ব্যক্তি বাগান কোয়ারেন্টাইনে

By daily satkhira

April 08, 2020

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালীগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়নের উফাকুড় গ্রামের ভবনাথ মণ্ডলের ছেলে গৌরপদ মণ্ডল (৩৫)। অভাবের তাড়নায় শরিয়তপুরের ইটভাটার কাজে গিয়েছিলেন। দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সোমবার উপজেলার পাঁচজনের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের, দেশের স্বার্থে ও পরিবারের স্বার্থে বাড়িতে না থেকে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে টোঙঘর বেঁধে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। ১৪ দিন পরে বাড়ি যাবেন তিনি। একইভাবে একই গ্রামের সন্তোষ মণ্ডলের ছেলে বিমল মণ্ডল (৩৭)। শুক্রবার ভারত থেকে বাড়ি ফিরেছেন। দেশের ও পরিবারের কথা মাথায় রেখে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির যুব ভলেন্টিয়ারদের প্রচার প্রচারনাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজ বাঁশবাগানের শ্যালো মেশিন ঘরে অবস্থান নিয়েছেন। ১৪ দিন পর বাড়িতে যাবেন। তিনি আরো জানান, তারা ৮০ জন একসাথে একই ভাটায় কাজ করতেন। তারালী, সোনাতলা, ভদ্রখালিসহ কয়েকটি গ্রামের বাকী ৭৫জন দু’ এক দিনের মধ্যে শরিয়তপুর থেকে বাড়ি ফিরবেন। মৌতলা ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির যুব ভলেন্টিয়ার দেবদাস মণ্ডল ও দেবরাজ মণ্ডল বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি যারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরছেন তাদের সম্পর্কে জেনে তাদের ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। নিজেকে বাঁচতে হবে, পরিবার বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে দেশকে। সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। গৌরপদ ও বিমলকে বাড়ির বাইরে ধানক্ষেতে ও বাঁশবাগানে ১৪ দিন করে থাকার পর ঘরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা সে নির্দেশনা মেনেই সেখানে অবস্থান করছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের খাবার দিয়ে আসা হচ্ছে। নিদ্দিষ্ট দূরত্ব থেকে তারা সে খাবার সংগ্রহ করছেন। এদিকে বুধবার সকালে উফাকুড় গ্রামে গেলে গৌরপদ মণ্ডল ও বিমল মণ্ডল বলেন, ঢাক ঢোল পিটিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বললেও তাদেরকে গত কয়েক দিনেও কোন সরকারি ত্রাণ বা সহায়তা দেওয়া হয়নি। এখন তাদের না খেয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় কি!#