সাতক্ষীরা

করোনা পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরায় কারাবন্দিদের খোজ নিতে গেলেন জেলা জজ মফিজুর

By daily satkhira

April 09, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের বন্দিদের সম্পর্কে খোজ খবর নিতে কারাগারে গেলেন জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মফিজুর রহমান। বুধবার জেলা খানার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফিকে সাথে নিয়ে কারাগারে হাজির হন তিনি। এসময় জেল সুপার আবু জায়েদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং জেল খানায় বর্তমানে অবস্থানরত হাজতী ও কয়েদীদের সংখ্যা, তাদের খাবার ব্যবস্থা, থাকার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইত্যাদী বিষয়ে খোজ খবর নিলেন। আদালত বন্ধের আগে কারাগারে অবস্থানরত কয়েদীদের সংখ্যা এবং ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বশেষ বন্দীদের সংখ্যা জেনে নতুন হাজতীদের জেল খানায় ঢোকানোর পর করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ সময় জেল খানর বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন, বন্দীদের সাথে কথা বলেন, বন্দীদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য গুরত্ব আরোপ করেন। তিনি কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে মোট ১৬ জন বন্দীকে দেখতে পান। কারাগারে মহিলা বন্দীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কারাগারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে ৩জন বন্দীকে দেখতে পান এবং তাদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া কারাগারের একটি ওয়ার্ডকে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড হিসাবে ঘোষনা করায় তিনি জেলখানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। কারাগারে নতুন প্রবেশকারী হাজতীদের আলাদাভাবে ওই কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে রাখার ব্যবস্থা আছে এবং ১৪ দিন সেখানে থাকার পর সাধারণ ওয়ার্ডে ঢোকানো হচ্ছে বলেও জেলা ও দায়রা জজকে অবহীত করেন জেলার কামরুল ইসলাম। জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান জেল কর্তৃপক্ষকে উত্তম খাবার, স্বাস্থ্য পরিচর্যা সহ বন্দীদের শারিরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে তৎমর্মে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় জেল খানায় অবস্থানরত বন্দীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানকে কাছে পেয়ে তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই ঝুকির মধ্যেও তাদের খোজ-খবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এদিকে জেলা কারাগারে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকা ডাক্তার সাইফুল্যাহ আল-কাফী কারা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ৩ জন বন্দীর ব্যাপারে জানান, তাদের গায়ে জ্বর থাকায় সেখানে রাখা হয়েছে, ২/১ দিন যাওয়ার পর জ্বর না কমলে প্রয়োজন হলে তাদেরকে পরীক্ষা করানো হবে। তিনি কারাগারে থাকা সকল বন্দীর ব্যাপারে সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখছেন বলেও জানান।