আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। তারপর তিন মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ দৃশ্যমান নয়। ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আগেই ছাড়িয়ে গেছে সবাইকে। এখন মৃত্যুর সংখ্যায় সর্বোচ্চ মারা যাওয়া ইতালিকেও ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মোট মারা গেছে ২০ হাজার ৫৭৭ জন। আর ইতালিতে মারা গেছে ১৯ হাজার ৪৬৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩০ হাজার ৪৫৩ জন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৯ জন আক্রান্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৮ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। বাকি ১১ হাজার ৪৭১ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউইয়র্কে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৩ জনসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ৬২৭ জন। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৭৮৬ জনসহ আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৪ জন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফসি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ হাজারের মতো দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা। গত মার্চে অবশ্য এক থেকে দুই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায় হোয়াইট হাউস।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। তারপর তিন মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ দৃশ্যমান নয়। ইতিমধ্যে করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায়ই বিশ্বজুড়ে এতে ৬ হাজার ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ জন।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ৬৫৯ জন।
সবমিলিয়ে, বর্তমানে ১২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৬২ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৫০ হাজার ৫৯২ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।
ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯, মারা গেছে ২০ হাজার ৫৭৭ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ২৭১, মারা গেছে ১৯ হাজার ৪৬৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ইতালিতে এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।
এছাড়া স্পেনে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭, মারা গেছে ১৬ হাজার ৬০৬ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২, মারা গেছে ২ হাজার ৮৭১ জন। চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৫২, মারা গেছে ৩ হাজার ৩৩৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৫৪, মারা গেছে ১৩ হাজার ৮৩২ জন। ইরানে আক্রান্ত ৭০ হাজার ২৯, মারা গেছে ৪ হাজার ৩৫৭ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৯৯১, মারা গেছে ৯ হাজার ৮৭৫ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ২৮ হাজার ১৮, মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪৬ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ২৪ হাজার ৪১৩, মারা গেছে ২ হাজার ৬৪৩ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৫ হাজার ১০৭, মারা গেছে ১ হাজার ৩৬ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ৫২ হাজার ১৬৭, মারা গেছে ১ হাজার ১০১ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত ২০ হাজার ৯৬২, মারা গেছে ১ হাজার ১৪০ জন।
এছাড়া ভারতে মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৪৪৬, মারা গেছে ২৮৮ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৫ হাজার ১১, মারা গেছে ৮৬। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৪৮২, মারা গেছে ৩০ জন।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি, এর কারণে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিও কাজ না করতে পারে তাই এগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।