আব্দুল জলিল: সময় সুন্দর বনে দাপটের সাথে দাপিয়ে দস্যুতা করত ইউনুচ আলীও জাকির হোসেনের। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে র্যাবের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আতœসমপণ করেন তারা। মামলা থেকে জামিন নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া রাজবাড়ি এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। আর এখানে এসে আয়ের উৎস হিসেবে জড়িয়ে পড়ে ফেনসিডিল ব্যবসায়। এলাকার লোকজন ভয়ে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। বর্তমানে তাদের মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছে শ্যামনগর উপজেলার টেংরা খালী এলাকায় ইউনুচ ও জাকিরের বাড়ি। র্যাবের কাছে অস্ত্রজমা দিলেও অপরাধ জগতের কর্মকান্ড থেকে ফিরে আসেনি। এখন তারা ফেনসিডিল ব্যবসার সাথে জড়িত। এসব সমাজ বিরোধী কাজ করার কারণে এই এলাকায় ভোটার হতে পারিনি তারা। তবে ইউনুচ আলী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে এসব করছে। মাছ ব্যাবসায়ী আবুল হোসেন, বাপ্পী তরফদারসহ এলাকাবাসি জানান, ইউনুচ আলীও জাকির হোসেন প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ব্যবসা করে। তাদের এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। ইউনুচ আলীর মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে অনেকে হামলা মামলা ন্বীকার হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবিরা ইউনুচ আলীর বাড়িতে অহরহ যাতায়াত করে। রাস্তায় দাড়িয়েও প্রকাশ্য ফেনসিডিল বিক্রি করে ইউসুচ। কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য জিএম গোলাম মোস্তফা ও ৫ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম আহম্মেদ জানান, ইউনুচ আলী ও জাকির হোসেন সুন্দর বনের জলদস্যু ছিল । তাদের আছে অন্ত্রের ঝনঝনানি । যার করণে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ভয় পায়। ইউনুচ ও জাকির এই এলাকায় এসে মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গোলযোগ করেছে অনেক বার ।এই জন্য তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে । তাদের কারণে এলাকায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে । কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন জানান, উইনুচ ও জাকির হিং¯্র টাইপের লোক। এখানে এসেও তারা অস্ত্রের মহড়া দেয়। তারা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার হওয়ার জন্য আসছিল। কিন্তু সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় তাদের ভোটার করা হয়নি। অভিযুক্ত ইউনুচ আলী জানান, ২০১৮সালে র্যাবের কাছে অস্ত্র জমা আতœসমপর্ণ করেছিলেন তারা। আগে শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে বসবাস করতেন। বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কাঠুরিয়া রাজবাড়ি এলাকায় নানার বাড়ির জমিতে বসবাস করেন। র্যাবের নিকট আতœসমর্পণ করার পর তাদের নামে আর কোন মামলা হয়নি। তবে কাঠুনিয়া রাজবাড়ি এলাকায় অনেকে মাদক ব্যবসা করে। আর ইউনুচ আলী বিভিন্ন সংস্থার সোস হিসেবে কাজ করেন বলে জানান। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন জানান, এই বিষয়ে তার কাছে কোন অভিযোগ নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন। এরকম কোন ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।