নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এম এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম অনলাইন ডেইলি সাতক্ষীরা এই সংকটময় মূহুর্তে “ঘরে বসে আহার” নামে যে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলকে তার নিজস্ব জায়গা থেকে এগিয়ে আসা উচিত। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সাতক্ষীরা সংগঠন যে কাজ করছে। এতে আমি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে গর্বিত। এই মহাদূযোর্গের সময় সকলের উচিত কিছু না কিছু করা, অবদান রাখা উচিত। অর্থ দিয়ে না পারলেও পরামর্শ দিয়েও অবদান রাখা যায়। ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেওয়ার যে কর্মসূচি তারা শুরু করেছে এটি অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করি। এই কর্মসুচিতে সাতক্ষীরার বিত্তবানদের তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সহযোগিতায় ৪৫০ পরিবারের মধ্যে “ঘরে বসে আহার” কর্মসূচির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, আবু সাঈদ, টগর, ডেইলি সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, রওশন জাহান রূপা, ফাহিম, প্রমুখ। উল্লেখ্য: ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে প্রতিদিন দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪৫০ পরিবারের বাড়িতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এ খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে করোনা পরিস্থিতে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের পক্ষ থেকে কর্মহীন ২শ পরিবারকে রান্না করা খাবার ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরবরাহের সিদ্ধান্ত হলেও তা বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কর্মসূচিতে প্রশংসা পাওয়ায় এবং অসহায় পরিবারগুলোর বিশেষ চাহিদা থাকায় আরো প্রায় ৪৫০ পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করা হয় নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এ কর্মসূচি বন্ধ করে দিলে ১৩ এপ্রিলের পরে পরিবারগুলোর নির্ভরশীলতা বিবেচনায় নিয়ে সাতক্ষীরার জনপ্রিয়তম নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা পরিবার এগিয়ে আসে।