দেশের খবর: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকালে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল পর্যন্ত সারা দেশের মোট ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৯০টি পরিবারের দুই কোটি ৭৭ লাখ ব্যক্তির কাছে ৭১ হাজার মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে সরকার। ৩৪ লাখ ৮৬টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নগদ সাহায্য ৩১ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে আজ বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, এ যাবত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯২ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৪ টাকা। এছাড়া শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে এক কোটি ৩৯ লাখ ৭২৩টি পরিবারের বিতরণ করা হয়েছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৫ টাকা। এ খাতে মোট বরাদ্দ ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এদিকে পবিত্র রমজান উপলক্ষে গতকাল ট্রাকসেলযোগ ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ জন ক্রেতার কাছে ৪০৭ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল, ৪৪৩ মেট্রিক টন চিনি, ৪৬ দশমিক ১৬ মেট্রিক টন মশুর ডাল, ২২০ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ছোলা এবং এক দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন খেজুর সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রায় তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে ৪৪১টি ট্রাকে এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন, তেল, ৩ কেজি চিনি, ১ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি ছোলা এবং ১ কেজি খেজুর বিক্রয় করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য উল্লিখিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে টিসিবি। এ কর্মসূচি আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।