কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে ইটভাটার শ্রমিক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ছেলেকে মারপিটের প্রতিবাদ করায় মাকে পিটিয়ে জখম করেছে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছসেবক। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের খুব্দিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারীকে গ্রামবাসিরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। হামলার শিকার নির্যাতিতা ঐ নারীর নাম মনোয়ারা খাতুন (৪৫)। তিনি উপজেলার খুব্দিপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলাম সরদারের স্ত্রী। চিকিৎসাধিন মনোয়ারা খাতুন জানান, তার ছেলে আবু ফারাক বিদ্যুৎ (১৮) পটুয়াখালি জেলার কুয়াকাটার একটি ইট ভাটায় কাজ করতো। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ১২ এপ্রিল সে তার অন্য সহকর্মীদের সাথে বাড়ি ফেরে। স্থানীয়দের পরামর্শ মত খুব্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে তাকে রাখা হয়। গত বুধবার তাদের ১৪ দিন শেষ হওয়ায় বাড়িতে পাঠানোর কথা বলা হয়। তার ছেলে বাড়িতে যাওয়ার খুশিতে স্কুলের মাঠে এলে সেচ্ছাসেবক কাদেরের কথামত গ্রাম পুলিশ ইব্রাহীম তাকে মারপিট করে। পরে সে বাড়িতে এসে তার মাকে বিষয়টি জানায়। স্কুলের দায়িত্বে থাকা বাড়ি সংলগ্ম সেচ্ছাসেবক আব্দুল কাদেরের কাছে ছেলেকে মারার কারণ জানতে চাইলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, চড় ও লাথি মেরে জখম করে এবং কামড় দিয়ে বাম হাতের আঙ্গুল ছিড়ে ফেলাম চেষ্টা করে। এসময় কাদেরের মারপিট ও কামড়ে ক্ষত বিক্ষত হয় বামহাত ও বুক। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা। বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ ইব্রাহীম জানান, আবু ফারাক বিদ্যুৎ স্কুল থেকে বের হয়ে মাঠে মোবাইলে কথা বলায় তাকে কয়েকটি চড় মারা হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল কাদের বলেন, প্রায় সময় আবু ফারাক চুরি করে বাড়িতে যেতো, নিষেধ করলে সে শুনতো না। এ জন্য চৌকিদারকে বলে তাকে মার খাওয়ানো হয়েছিল। দোষ করেছে ছেলে মাকে মারার কারণ জানতে চাইলে সে বলে ওর মা আমাকে গালি দিয়েছিল এ কারণে দুই একটি চড় মেরেছিলাম। থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছেন। অভিযোগের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।