আশাশুনি

আশাশুনির কাকবাসিয়া মৎস্য সেট ও কাঁচা বাজার চালাতে লাঠিয়াল বাহিনীকে দিতে হয় চাঁদা

By daily satkhira

April 26, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া বাজারের মৎস্য সেট ও কাঁচা বাজার চালাতে গেলে জোর পূর্বক লাঠিয়াল বাহিনীদের দৈনিক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, লক-ডাউন শুরো হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের একটি শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র কাঁচা বাজারের দোকান প্রতি ২০ টাকা এবং মৎস্য সেট থেকে প্রতিদিন ৩হাজার টাকা চাঁতা আদাইয়ের কথা স্বীকার করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ। সেটটি নির্ধরিত জায়গার বাহিরের অন্যাত্র চালনো একদমই সম্ভব না এ কথা ভেবে সেট মালিক আলহাজ্জ আঃ হাকিম সানা বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় ঐ লাঠিয়াল বাহিনীর সাথে সমন্ময় করে সেট চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ধারনা অনেকেরই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেট মালিক, কাঁচা বাজারের দোকানদার ও ক্রেতা জানান, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান এটিএম শামছুজ্জামান, বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আলী মাহমুদ গাজীর পুত্র হিটলার গাজী, হামজা গাজীসহ তাদের সহযোগী নোয়াব আলী গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, মান্দার গাজীর ছেলে আনারুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান সানার ছেলে মোশারফ সানা, মৃত মোন্তাজ গাজীর ছেলে আসাদুল গাজী, কেরামত গাজীর ছেলে অলী গাজী, বাবু সানার ছেলে সিরাত সানা ও হায়দার সানা একত্রিত হয়ে করোনা সংক্রমনের দোহায় দিয়ে সাধারন মানুষের সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করে বেড়ায়। এমনকি ছেলেকে ভ্যানে বসিয়ে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে যাওয়া বাবা ফিরে এসে দেখেন তার ছোট ছেলের পিঠে মারতে মারতে এক লাঠিয়াল তার লাঠি ভেঙে দু খন্ড করে ফেলেছে। লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে বাজারে কেউ মুখ না খুললেও বাজার থেকে ফেরার পরে অনেকে তাদের দ্বারা বাজারে সন্ত্রাসী স্টাইলে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে মৎস্য সেট মালিক আলহাজ্জ আঃ হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় লাঠিয়াল বাহিনী ছাড়া আমার সেট চালু রাখা সম্ভব না। তাই অবশেষে মৎস্য সেটের সব ঘর মালিকগন একত্রিত হয়ে লাঠিয়াল বাহিনীদেরকে প্রতিদিন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে সেটটি চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৎস্য সেটের মোট ৪০টি ঘর থেকে ৪ হাজার এবং কাঁচা বাজারের দোকান প্রতি ২০টাকা করে তুলে লাঠিয়াল বাহিনীকে দেওয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে সেট মালিক আলহাজ্জ আঃ হাকিম বলেন, কাঁচা বাজার ও দোকানের কথা বলতে পারবো না তবে মৎস্য সেটের সমিতি থেকে বাহিনীকে প্রতিদিন ৪ হাজার নয়, ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ইউনিয়নের কাকবাসিয়া বাজার এবং লাঠিয়াল বাহিনী শিরোনামে প্রতিবেদকের একটি ফেসবুক পোস্টে আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন কমেন্টে তার মনোভাব প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ” আমি সেটটি পাশ্ববর্তী বিলে সরিয়ে নিয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টির দোহায় দিয়ে আবার তারা সেখানে ফিরে এসেছে আর কিছু অসাধু ব্যবসাযী করোনা ভাইরাসের নিয়ম না মেনে দশ জনকে দুই শত টাকা করে দিয়ে তদারকি টিম তৈরী করে একই জায়গায় মৎস্য সেট ও কাচা বাজার চালাতে চেষ্টা করছে। আজ (শুক্রবার) সকালের কাঁচা বাজার বিকালে বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম প্রতিবেদককে বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে করোনা সংকট মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করনের লক্ষে কাজ করে তাদেরকে ওয়েলকাম তবে কেউ যদি এটাকে পুজি করে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করনের নামে লাঠি হাতে সাধারন মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার ও ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নেয় সেক্ষেত্রে তারা কখনও ছাড় পাবে না। অভিযোগটি সত্য প্রমানিত হলে অতিদ্রুত তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।