ফিচার

এবার সিন্ডিকেট করে প্যাকেটে ৮০০ টাকা বাড়ানো হলো খেজুরের দাম

By Daily Satkhira

April 27, 2020

দেশের খবর: রমজান ঘিরে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও আদা-রসুনের পর এবার খেজুরের বাজারে অসাধুরা হানা দিয়েছে। নজরদারির অভাবে সুযোগ বুঝে আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে সব ধরনের খেজুরের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

সবশেষ তিন দিনে তারা কারসাজি করে পাইকারি আড়তে প্রতি প্যাকেটে (৫ কেজি) খেজুরে দাম বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। এতে পর্যাপ্ত মজুদের পরও রমজান ঘিরে খুচরা বাজারে ভোক্তাকে বেশি দামেই খেজুর কিনতে হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর পাইকারি ফলের আড়ত বাদামতলীর খেজুরের আড়তে গত তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি প্যাকেট (৫ কেজি) মরিয়ম প্রিমিয়াম খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা।

এছাড়া প্রিমিয়াম ছাড়া প্রতি পাঁচ কেজির প্যাকেটে পাইকারি দরে মরিয়ম খেজুরে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০০ টাকা। মাবরুর খেজুরে প্রতি প্যাকেটে (৫ কেজি) দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০-৫৫০ টাকা।

বড় আকারের ম্যাডজুল খেজুরের পাঁচ কেজির প্যাকেটে তিন দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। মাঝারি আকারের ম্যাডজুল খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০০ টাকা।

ছয় কেজি ওজনের আজোয়া খেজুরে তিন দিনে দাম বাড়ানো হয়েছে ৮০০ টাকা। ছুফরি খেজুরে পাঁচ কেজিতে তিন দিনে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩০০ টাকা। দাবাস ক্রাউন খেজুরে পাঁচ কেজিতে সাত দিনের ব্যবধানে ৮০০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।

নিম্নমানের ভেঁজা খেজুরের দামও কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, মরিটরিংয়ের মাধ্যমে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে।

খেজুরের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। অধিদফতরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। আমদানি মূল্য যাচাই করা হবে। এ সময় পরিবহন খরচসহ যৌক্তিক বিক্রয় মূল্য না পেলে ও বাজার তদারকিকালে কোনো অনিয়ম পেলেই কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। কোনো অসাধু ব্যক্তি নিত্যপণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।

শনি ও রোববার সরেজমিন রাজধানীর বাদামতলী খেজুরের আড়ত ঘুরে ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ কেজির মরিয়ম প্রিমিয়াম প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকা; যা তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৩০০০ টাকা।

মাবরুম পাঁচ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৪০০ টাকা; যা তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৮৫০-২৯০০ টাকা। বড় আকারের ম্যাডজুল পাঁচ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০০০ টাকা; যা তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫০০ টাকা।

আজোয়া ৬ কেজির প্যাকেটের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬২০০ টাকা; যা তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫০০ টাকা। দাবাস ক্রাউন পাঁচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০০ টাকা; যা সাত দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৮০০ টাকা।

এছাড়া ছুফরি পাঁচ কেজি তিন দিনে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে ১৫০০ টাকা।