নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এক কঠিন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। যদিও এই শত্রুকে প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পাচ্ছি না। যে প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। আজও তারাও আক্রান্ত হচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ। চিংড়ীতেও ধ্বস। এখন একমাত্র কৃষিই চালু আছে। এই মূহুর্তে প্রয়োজন কৃষি জমি, কৃষক ও বর্গাচাষীদের রক্ষা করা। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি সরকার যে ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে। যা গত ৩ বছর ধরেই ওই একই মূল্য এবছরও নির্ধারণ করেছে। ৪০ কেজি ধান ১ হাজার ৪০ টাকা। আর উৎপাদিত ধানের মাত্র ২% কৃষকের কাছ থেকে নেওয়া হবে। এবার সাপ্তাহিক মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। গত বছর ছিল ৫ হাজার টাকা। তারপরও মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন সাতক্ষীরা মিনি মার্কেটের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেয়। কিন্তু গতকাল সাতক্ষীরার একটি সন্তান করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যিনি যশোরের শার্শা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত। যে কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর শ্রদ্ধা রেখে আমরা রাস্তায় মানববন্ধন না করে কার্যালয়ের ছাদে করেছি। ২৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের উপরে(ছাদে) অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা বলতে চাই উৎপাদিত ধানের ৫০% কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ২শ টাকা মূল্যে ক্রয় করতে হবে। বর্গাচাষীদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। কৃষক ও বর্গাচাষীদের সুদ মুক্ত ঋণ দিতে হবে। খেত মজুরদের রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষককে রক্ষা করতে পারলে এই মহামারীকে মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। যদি কৃষক-খেতমজুরদের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা যায়। তাহলে ত্রাণের কোন প্রয়োজন হবে না। কৃষক-খেত মজুর ত্রাণের জন্য ছুটবে না। ১৯৭১ সালে যেমন তারা ত্রাণ না নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করে দেশকে রক্ষা করেছিল আগামীতেও কৃষক-খেতমজুর দেশকে রক্ষা করবে, শহর কে রক্ষা করবে এবং দেশে দুর্বৃত্তায়ন প্রতিহত করবে। আমরা ফটোসেশন নই। কৃষকের উৎপাদিত ধান স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কেটে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচাবে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল, জেলার সভাপতি অধ্যাপক সাবীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি অজিত কুমার রাজবংশী, সাধারণ সম্পাদক নির্মল সরকার, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখা সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফাহিমুল হক কিসলু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড আবেদুর রহমান, কমরেড স্বপন কুমার শীল প্রমুখ।