সাতক্ষীরা

আবারও উল্লাস করে গণলুণ্ঠনের পায়তারা! গুড়পুকুর মেলাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় ‘ওঠাও বাচ্চা’ চক্র

By Daily Satkhira

September 12, 2016

আমির হোসেন খান চৌধুরী: আবারো সাতক্ষীরার গণমানুষের পকেট কাটতে আসতে পারে ‘ওঠাও বাচ্চা’ খ্যাত উল্লাস লটারি কর্তৃপক্ষ। এ গুঞ্জন পুরো শহর জুড়ে শুরু হয়েছে। ইতিপূর্বে গণলুণ্ঠন করে একাধিকবার সাতক্ষীরার অসংখ্য দরিদ্র পরিবারে অশান্তির কারণ হওয়া অনুমোদনহীন এই লটারি আসন্ন গুড়পুকুর মেলাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষকে পথে বসাতে তার আবারও পায়তারা চালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গুড়পুকুর মেলা সংক্রান্ত সভায় লটারি ও র‌্যাফেল ড্র সম্পর্কে প্রস্তাব ওঠে। এসময় উপস্থিত শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোসফেকুর রহমান মিল্টন, দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদকম-লীর সভাপিত আনিসুর রহিম, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এমনকি ওই মিটিংয়ে উপস্থিত পৃলিশ সুপারের প্রতিনিধিও জানান, ইতিপূর্বে এ ধরনের লটারির কারণে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছিল। এসব বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোন লটারি বা র‌্যাফেল ড্র আয়োজন করা যাবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তারপরও একটি মহল লটারি চালু করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার পায়তারা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি শুরুও করেছেন ওই চক্রের লোকজন। যেভাবে হোক সমাজের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে র‌্যাফেল ড্র নামে মানুষকে পথে বসিয়ে নিজেদের পকেট বড় করতে চায় তারা। যে কারণে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই চক্রটি। শোনা যাচ্ছে আসন্ন ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া গুড়পুকুর মেলাকে সাতক্ষীরায় আবারো উল্লাস করে গরিব মানুষকে পথে বসানোর মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে পারে। সূত্র জানায়, বিগত ২০১৫ সালে বাণিজ্য মেলা ও পরে গুড়পুকুর মেলায় উল্লাস নামক একটি ভুঁইফোড় কোম্পানি সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে লটারির নামে পকেট কাটার ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জনগণের অসন্তোষ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই লটারি বন্ধ করে দেন। যে কারণে তিনি জনগণের অনেক অভিনন্দনও পেয়েছিলেন। আর যাতে সাতক্ষীরায় এ ধরনের র‌্যাফেল ড্র বা লটারির আড়ালে কোন গণলুণ্ঠনের চেষ্টায় কেউ সফল না হয় সে বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন সাতক্ষীরাবাসী।