আজকের সেরা

সাতক্ষীরাসহ করোনা আক্রান্ত ৬৩ জেলা, এখনও মুক্ত রাঙামাটি

By Daily Satkhira

April 30, 2020

দেশের খবর: দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে বুধবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সাতক্ষীরাসহ ৬৩টি জেলায় করোনাভাইরাসের ছোবল পড়েছে। দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে রাঙামাটি এখনও করোনাভাইরাস মুক্ত রয়েছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ৫৩ দিনের মাথায় এসে ৬৩টি জেলাতে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটলো। সর্বশেষ জেলা হিসেবে খাগড়াছড়িতে বুধবার (২৯ এপ্রিল) করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাতক্ষীরাতে গত ২৬ এপ্রিল যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক মেডিক্যাল টেকনেশিয়ানের নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই ব্যক্তি সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে যেতেন এবং বর্তমানে তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন।

এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ১০৩ জনের। এ সময় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন। এ সময়ে ৫৯ হাজার ৭০১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা মহানগরেই করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৪২৩ জনের। ঢাকার পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত এ জেলায় এ পর্যন্ত ৮৬৩ জন শনাক্ত হয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর সর্বশেষ বুধবার (২৯ এপ্রিল) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ৬২ জেলায় করোনা শনাক্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ৬৩তম জেলা হিসেবে বুধবারই খাগড়াছড়িতে করোনা শনাক্ত হয় বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

আইইডিসিআর প্রতিদিন দুপুরে যে তালিকা প্রকাশ করে সেটা ওইদিন সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার শনাক্তের তথ্য সন্নিবেশ করা হয়। ফলে আইইডিসিআরের তালিকায় মূলত প্রকাশের দিন আট ঘণ্টা (দিবাগত রাত১২টা থেকে সকাল ৮টা) এবং আগের দিন ১৬ ঘণ্টার (সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা) তথ্য দেওয়া হয়। এতে করে আগের দিনের শনাক্ত রোগীই বেশি স্থান পায় ওই তালিকায়। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই তা প্রকাশ করা হয়। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে আইইডিসিআরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কোনও জেলার শনাক্তের সময় ও স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া সময়ের মধ্যে একদিন আগপিছ হয়ে থাকতে পারে।

গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলায় এক মেডিক্যাল টেকনেশিয়ান নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ওই ব্যক্তি সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে যেতেন। সেখান থেকে তার সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের ১০দিনের মাথায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ই মার্চ। এদিকে ১৯শে মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রথম লকডাউন ঘোষণা করা হয় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা।

করোনা শনাক্তের শুরুর দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আক্রান্তদের তথ্য প্রকাশ করা হতো না। এমনকি তারা কোন এলাকার অধিবাসী সেই তথ্যও প্রকাশ করা হতো না। রোগীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ গোপনীয়তা রক্ষা করে। করোনা শনাক্তের ১৫দিনের মাথায় ২৩ মার্চ আইইডিসিআর সর্বপ্রথম রোগীদের জেলার নাম জানায়। ওইদিন জানানো হয়, ৭ জেলার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সেই জেলাগুলো ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুর।

অবশ্য ওই সময় কুমিল্লা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়নি। বিদেশ ফেরত একব্যক্তি ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায়ই মারা যাওয়া ব্যক্তিকে কুমিল্লার বলে উল্লেখ করা হয়। ওই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা হওয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে কুমিল্লার সিভিল সার্জন জানান।

গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় সর্বপ্রথম করোনা শনাক্ত হয়। দুটি জেলাতেই সংক্রমণ হয় ইতালিফেরত প্রবাসীর মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জে ইতালিফেরত প্রবাসীর পাশাপাশি তার সংস্পর্শে থাকা এক নারী করোনা আক্রান্ত হন। গত ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্তের ১০দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এদিকে প্রথম করোনা শনাক্তরে পর ৬দিনের মাথায় আবারও করোনা শনাক্তের তথ্য পাওয়া যায়। ১৪ মার্চ এক জার্মান ফেরত প্রবাসী যুবকের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ওইদিন জার্মান ফেরত ওই যুবকের পাশাপাশি ইতালি ফেরত একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ফয়সাল নামের জার্মান ফেরত ওই যুবক পরে সুস্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তার সুস্থ হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেছিলেন।

ঢাকার পর ১৭ মার্চ গাজীপুরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ইতালিফেরত ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হন। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। জেলার বাসিন্দা হিসেবে প্রথম করানো শনাক্ত হয় ২৯ মার্চ। গাজীপুর সদরের এক বাসিন্দা ইতালি ফেরত আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসে করোনা আক্রান্ত হয়।

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করা শনাক্ত হয় ১৯ মার্চ। ইতালিফেরত এই যুবক খুলনা বিভাগের প্রথম করোনা রোগী। ২২ মার্চ গাইবান্ধায় করোনা শনাক্ত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মা ও ছেলের করোনা শনাক্ত হয়। কক্সবাজারে ২৪ মার্চ প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। আক্রান্ত বয়স্ক নারীও বিদেশ ফেরত।

শরীয়তপুরে প্রথম শনাক্ত হয় ৪ এপ্রিল। করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। বগুড়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৪ এপ্রিল। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি রংপুরে। ওই ব্যক্তি ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে রংপুর যাচ্ছিলেন। কিন্তু করোনা সন্দেহে তাকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসন তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করান। নমুনা পরীক্ষার পর ৪ এপ্রিল করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

গত ৫ এপ্রিল একইদিনে পাঁচটি জেলায় করোনা শনাক্ত হয়। জেলাগুলো হলো মানিকগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট শেরপুর এবং মৌলভীবাজার। নরসিংদীতে প্রথম করোনা চিহ্নিত হয় ৬ এপ্রিল। জেলার পলাশ উপজেলার ইসলামপাড়া গ্রামে।

কিশোরগঞ্জের করোনা সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায় ৭ এপ্রিল। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ঢাকার মুদি দোকানী। উপসর্গ নিয়ে ৬ এপ্রিল মারা গেলে নমুনা পরীক্ষার পর ৭ এপ্রিল যে রিপোর্ট পাওয়া যায় তাতে কোভিড ১৯ পজিটিভ আসে। একইদিনে টাঙ্গাইলে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ৭ এপ্রিল নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। তিনি ঢাকা থেকে সেখানে যান। কুমিল্লায়ও প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৭ এপ্রিল। এর আগে আইইডিসিআর থেকে ২৩ মার্চ কুমিল্লায় কোভিড-১৯ শনাক্তের কথা জানালেও সেটি কুমিল্লার ঘটনা নয় বলে সিভিল সার্জন জানান। তিনি বলেন, ওই আক্রান্ত ব্যক্তিটি কানাডা থেকে এসেছিলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তার কোভিড শনাক্ত হয় এবং ঢাকায় থেকেই তিনি মারা যান। তবে, তার স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা। এজন্য আইইডিসিআর তাকে কুমিল্লা জেলার আক্রান্ত হিসেবে হয়তো চিহ্নিত করেছিল।

বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের একমাস পর গত ৮ এপ্রিল রংপুরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এক যুবক করোনা আক্রান্ত হন। ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল। দম্পতির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তি মাদারীপুর থেকে বাড়িতে যান। একইদিনে চাঁদপুর ও পটুয়াখালী জেলার প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এ দুটির জেলার সংক্রমণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে।

গত ১০ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বরগুনায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে বরগুনার আক্রান্ত ব্যক্তিটির রিপোর্ট আসার আগেই মারা যান।

রাজবাড়ীতে করোনা শনাক্ত হয় ১১ই এপ্রিল। একদিনে জেলার পাঁচজনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। একই দিনে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী ও হবিগঞ্জে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালীর ব্যক্তি ইতালিফেরত বাকিরা নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছে। নোয়াখালীর আক্রান্ত ব্যক্তিটি রিপোর্ট পাওয়ার আগেই মারা যান।

দেশে করোনা শনাক্তের ৩৬তম দিনে ১২ এপ্রিল একযোগে আট জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়। এদিন রাজশাহী, ফরিদপুর, ঝালকাঠি, খুলনা, যশোর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল ও সুনামগঞ্জে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রাজশাহী, ফরিদপুর, ঝালকাঠির সংক্রমণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরের হয়েছে খুলনার মাধ্যমে। বাকিদের সংক্রমণের কারণ জানা যায়নি। এদের মধ্যে একজন ছিলেন তাবলিগ জামাত ফেরত।

পিরোজপুর, নড়াইল ও কুড়িগ্রামে প্রথম করোনা পজিটিভ হয় ১৩ এপ্রিল। এদের মধ্যে পিরোজপুর ও নড়াইলের আক্রান্ত ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ থাকতেন এবং কুড়িগ্রামে আক্রান্ত ব্যক্তি সাভারে থেকে গিয়েছিলেন। দিনাজপুর ও জয়পুরহাটের প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ১৪ এপ্রিল। একই দিনে দিনাজপুরে তিন উপজেলার ৭ জন ও জয়পুরহাটে দুইজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ১৫ এপ্রিল। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ তাবলিগ থেকে আসেন। ফেনী, বাগেরহাট ও পাবনায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৬ এপ্রিল। এর মধ্যে ফেনীর আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকা, পাবনার আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ ও বাগেরহাটের আক্রান্ত ব্যক্তি ফরিদপুর থেকে এলাকায় যান।

দেশের উত্তর-পশ্চিমের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়ে ১৭ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার মিরপুর থেকে লকডাউনের সময় এলাকায় যান। গত ১৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। বেলকুচির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে উপসর্গ নিয়ে নিজের এলাকায় গিয়েছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০ এপ্রিল। ওই ব্যক্তি ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসে। মাগুরায় প্রথম শনাক্ত হয় ২১ এপ্রিল। সদর উপজেলায় গাজীপুরে গার্মেন্টে চাকরি করতেন। মেহেরপুরে প্রথম করার শনাক্ত হয় ২২ এপ্রিল। জেলার মুজিবনগর উপজেলায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তার করোনা সংক্রমণের কারণ জানা যায়নি।

গত ২২ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি মাদারীপুর সোনালী ব্যাংকে চাকরি করেন। নওগাঁয় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২৩ এপ্রিল। তিনি রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স । অবশ্য এর আগে এ জেলায় ২০ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্তের কথা বলা হয়েছিল। তবে রিপোর্টে তার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

২৩ এপ্রিল ভোলায় দুইজন করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন মনপুরা উপজেলার বাসিন্দা ,ঢাকায় হোটেল শ্রমিকের কাজ করতো। অপরজন ৮ বছরের শিশু। ঝিনাইদহে ২৫ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথম শনাক্ত হওয়া দুইজনের একজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা দুইজনই অন্য এলাকা থেকে এখানে আসে।

গত মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল নাটোর জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। জেলার সদর উপজেলায় এক জন, গুরুদাসপুর উপজেলায় দুজন এবং সিংড়া উপজেলায় পাঁচ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় বলে ওইদিন রাতে জেলার সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান। এর আগে ২৩ এপ্রিল আইইডিসিআর তাদের প্রতিবেদনে নাটোর জেলায় একজন করোনা শনাক্ত বলে উল্লেখ করে। তবে, পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি নাটোরে কিন্তু তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং ঢাকাতেই অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর ৫৩তম দিনে ২৯ এপ্রিল (বুধবার) খাগড়াছড়ি জেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সস্ত্রীক নারায়ণগঞ্জ থেকে খাগড়াছড়ি গেলে তাকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ পাওয়া যায়। তথ্য সূত্র: বাংলাট্রিবিউন