আশাশুনি

আশাশুনিতে ইউপি সদস্য কর্তৃক বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাতের তদন্তে সত্যতা

By daily satkhira

May 06, 2020

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে ইউপি সদস্য কর্তৃক নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার নির্দেশে বড়দল ইউনিয়ন সহকারী (ভুুিম) কর্মকর্তা রনজিত কুমার মন্ডল, সাংবাদিকবৃন্দ, অভিযোগকারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেন। বুধবার সকাল ১১ টায় ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ তদন্ত সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, গত ৪মে সোমবার ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী কর্তৃক গণস্বাক্ষকৃত দুর্নীতি দমন কমিশনার (দুদক)সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হেতাইলবুনিয়া ও বাইনতলা গ্রাম থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার অধিক টাকা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে আত্মসাৎ করেছেন এবং ক্ষমতার জোরে সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছে। অভিযোগকারী এলাকার স্থানীয় ফারুক সানা, তাপস মন্ডলসহ অনেকেই জানান, ইউনিয়নের বিশিষ্ট নেতার ছত্রছায়ায় ধূর্ত সুচতুর ইউপি সদস্য মৃত নিরোধ গাইনের পুত্র নীলকন্ঠ গাইন জন প্রতি ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা করে আদায় করেছেন বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেয়ার নামে। কিন্তু সে সম্প্রতি আরও ৬৫০ টাকা করে জন প্রতি দাবি করছে। টাকা না দিলে কেউ মিটার পাবে না বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আমরা দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর আগে উক্ত টাকা ইউপি সদস্য নীলকন্ঠকে প্রদান করি। তিনি আমাদেরকে বলেন বিদ্যুৎ অফিসে আমার নিকটতম আত্মীয় আছে। কিছু খরচ খরচা দিলে দ্রুত বিদ্যুতের মিটার সংযোগ দেবে। আমরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কথা ভেবে রাজি হই কিন্তু ইউপি সদস্য আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ধোকা দিয়েছেন। কিন্তু এখন আমরা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা ২০২০ সালের ভিতর সকল জনগণের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে। সেই লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উক্ত সুচতুর অর্থলোভী ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পুঁজি করে আমাদের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।যাহা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী পরেশ চন্দ্র মন্ডলের বক্তব্য, পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য এক টাকাও লাগে না। তবে হ্যাঁ, মিটার লাগানো বাবদ সরকারি ফি ৪০০ টাকা সেটা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি শুনলাম তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ এর নাম করে টাকা নিয়নি। কিছু কুচক্রী মহলের লোক আছে তারা আমাকে হেয় করার জন্য লেগেছে। বিষয়টি নিরসনে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন করণা সংকট বিপদগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা।