স্বাস্থ্য ও জীবন: মানবদেহের জন্য ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজন।ভিটামিন ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। সূর্যালোকে ভিটামিন ডি উৎপাদিত হয়। হাড় এবং দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিন। এছাড়া, এটি অতিরিক্ত ওজন কামাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র উপস্থিতি মানুষকের অবসাদে ভুগতে দেয় না।
করোনায় লকডাউনের কারণে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। ফলে সূর্যের আলো গায়ে লাগছে না। এতে করে শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি-র ঘাটতি অন্যতম গুরুতর অথচ সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এনসিবিআই অনুসারে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার প্রায় ৫০% মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে ভোগে। মার্কিন ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, গড়ে দৈনিক ১০-২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি খাওয়া প্রয়োজন।
হাড় মজবুত রাখতে অবশ্যই শরীরে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। তবে শুধু হাড় বা দাঁতই নয়, চামড়ার যত্নেও ভিটামিন ডি-র প্রভাব দারুণ।
বিভিন্ন মাছে রয়েছে ভিটামিন-ডি। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন, স্যালমন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি।
শুষ্ক-মরা চামড়ার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। অনেক ক্রিম-তেল ব্যবহার করেও চামড়া অসম্ভভ শুকিয়ে যায় অনেকের। ফলে, অনেকেরই ড্রাই স্কিন, চুলকানি, এগজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো রোগও হয়। শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক না থাকা এর কারণ হিসেবে থাকার পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কিন্তু এর কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হচ্ছে কিনা তা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় আপনার চামড়ার দিকে নজর দেওয়া। যদি ত্বক অসম্ভভ শুষ্ক হয় তবে বুঝবেন শরীরে ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে ভিটামিন ডি।