নিজস্ব প্রতিনিধি : মহামারী করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা শাখার সদস্যরা। তারা প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় অসহায় দুস্থ পরিবারের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। সাতক্ষীরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন। গত ২৪ মার্চ মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু করেন তাদের কার্যক্রম। আর ৪ এপ্রিল থেকে শুরু করেন দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ। প্রথম রমজান থেকে শুরু করেছে ইফতার পৌছে দেওয়ার কার্যক্রম। যা অব্যাহত আছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের এবং শুভাকাঙ্খীদের আর্থিক অনুদানে চলছে এ মহদী কার্যক্রম। তাদের সাথে সংযুক্ত হয় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ ও সাতক্ষীরার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা। শহরের পলাশপোল এলাকায় সকাল হলেই শুরু হয় চাল, ডাল, তরিতরকারি, মাছ, মাংস নিয়ে রান্নার আয়োজন। তারা পুষ্টির ঘাটতি পুরণে যা দরকার তা দিয়েই তৈরি করছেন দুপুরের খাবার। ভ্যান, ইজিবাইক ও মটর সাইকেলে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার দুস্থ মানুষের বাড়িতে। রমজান শুরু হওয়ায় তারা বর্তমানে প্রতিদিন প্রত্যেকের বাড়িতে ইফতার পৌছে দিচ্ছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, আমাদের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে এজন্য আমরা এসময় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। প্রথমে রান্না করা খাবার পৌছে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে রমজান চলে আসায় ইফতার পৌছে দিচ্ছি। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিপিএম বারসহ বিভন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ব্যক্তিগণ।
এদিকে “ঘরে বসে আহার” কর্মসূচির পরিদর্শনে গিয়ে এমন কাজ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
সংগঠনটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে প্রতিদিন সাড়ে ৪ শ’ পরিবারের কাছে তাদের তৈরি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকলিমা খাতুন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এ সংগঠনটি ধারাবাহিকভাবে
আমাদের প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ, রান্না খাবার এবং পরবর্তীতে ইফতারি দেওয়ার মত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এতে আমরা দারুন উপকৃত হচ্ছি।