কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে শত শত শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিস্কুট দিলেন প্রধান শিক্ষক

By daily satkhira

May 09, 2020

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের যখন গোটাদেশ জুড়ে আতঙ্কংগ্রস্ত তেমনি সময়ে কালিগঞ্জের একটি প্রাথমিক শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ডেকে বিস্কুট দেওয়ায় এলাকাবাসি ও সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাথে সাথে ঐ শিক্ষকের অপসরণের দাবীও জানিয়েছেন তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে বিদ্যালয় খুলে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাড়ি থেকে ডেকে বিস্কুট বিতরণ করছে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক পরিমল কুমার ঘোষ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদরের উত্তর কালিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের এহেনও কর্মকান্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত ব্যাক্তির উপস্থিতি, সামাজিক দুরত্ব না মেনে পাশাপাশি ঘোরা ফেরা ও হৈ হুল্লো করায় অবিভাবকরা ও সচেতন মহলের মাঝে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে। সাথে সাথে গ্রামবাসিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্রায় ২ মাসের অধিকাল সময় ধরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্ত সরকারের সকল নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে উত্তর কালিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিনের জমানো পুরানো বিস্কুট সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই শিক্ষার্থী ও অবিভাকদের ডেকে কৌশলে বিতরণ করতে থাকে। এদিকে ত্রাণ হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাড়িতে যেয়ে ৩২ প্যাকেট বিস্কুট দেওয়ার কথা থাকলেও সে নিয়ম না মেনে ১৫ প্যাকেট বিস্কুট স্কুলে ডেকে সমাবেশ করে দিতে থাকায় অভিভাবকরা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিদ্যালয় বন্ধের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাড়িতে যেয়ে ৩২ প্যাকেট ত্রাণের বিস্কুট দেওয়ার কথা। কিন্ত ঐ প্রধান শিক্ষক সেটি না মেনে ইচ্ছামত তার স্কুলের শিক্ষার্থী ও অবিভাবদের উপস্থিতিতে বিস্কুট দেওয়ার বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এই দূর্যোগ মুহুর্ত্বে এমন কাজ কেন করলো সে জন্য তাকে শোকাজ করা হবে। ইতিপূর্বে ঐ শিক্ষক কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি নির্দেশনা না মেনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয় চত্ত্বরে পিকনিকের আয়োজন করেছিল। সে সময়ও অবিভাবদের চাপের মুখে পিকনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন অভিযোগ পেয়েছি, তাকে শোকাজ করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার ঘোষের ব্যবহৃত নম্বর ফোন থেকে এ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেন। নিউজটা প্রকাশ না করলে আগামিকাল এসে আপনার জন্য তেল খরচ দেওয়া হবে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ সুচতুর প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমারের কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকরা তাকে বিদ্যালয় থেকে অপসরণের দাবী জানিয়েছেন।