নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি আনসার(ভিডিপি) সহকারী মহিলা রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিময়সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তার অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে উঠেছেন আশাশুনি আনসার(ভিডিপি) এর নেতা-নেত্রীবৃন্দ। এঘটনায় ইউনিয়নের সকল ভুক্তভোগী আনসার(ভিডিপি) সদস্যরা ওই রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আনসার(ভিডিপি) দলনেত্রী জানান, আশাশুনি উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার(ভিডিপি) রাবেয়া খাতুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন চাকুরি করে যাচ্ছেন। আর তার স্বামী কামরুল ইসলাম আনসার সদস্য না হয়েও উপজেলার আনসার সদস্যদের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে কামরুল বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। রাবেয়া খাতুন সমাজসেবা অফিসের ঝাড়–দারের কাজ করতো। সে সুবাদে তার স্বামীকে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে বয়স্ক ভাতার কার্ড করিয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে জেলা আনসার(ভিডিপি) এর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু রাবেয়া খাতুন সেখানেও অনিয়ম করেছে। ত্রাণ বিতরণের সময় কৌশলে তার গ্রুপের মধ্যে থেকে ত্রাণ নিয়ে তছরুপ করেছেন। এদিকে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসের গেট নির্মাণের সময় রাখা রড, সিমেন্ট চুরি করে বাড়িতে রেখেছিল রাবেয়া খাতুন ও তার স্বামী কামরুল ইসলাম। যদিও পরবর্তীতে ইউএনও সাহেব তাদের বাড়ি থেকে ওই রড ও সিমেন্ট উদ্ধার করেছিল। ইউএনও মহোদয়ের হাতে পায়ে ধরে সে যাত্রা রক্ষা পান। এছাড়া ব্যক্তি চারিত্রিক ত্রুটিও রয়েছে ওই রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। তিনি ওই রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে আশাশুনি ত্রাণ বিতরণের জড়িত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চেয়ারম্যানের সনদ বাধ্যতামূলক যাচাই বাছাই করার জন্য জেলা কমান্ড্যান্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন আনসার সদস্যরা।