নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলা গয়ড়া গ্রামের মৃত ইছাক মোড়লের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলীর সাথে একই গ্রামের মৃত. ঈমান আলী খলিফার পুত্র নাসির উদ্দীন ও নাসির উদ্দীনের ছেলে হিমেল হোসেন গংদের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। পাশ^বর্তী রামভদ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র ডালিম হোসেনের ইন্ধনে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সুচতুর নাসির উদ্দীনের পুত্র লম্পট হিমেল মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বধুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বিভিন্ন সময়। পুত্রবধু এর প্রতিবাদ করলে হিমেল গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭মে২০২০ তারিখে বিকাল ৫টায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বশতবাড়ীতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান বাধা দিতে গেলে এলোপাতাড়ী চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এঘটনা দেখে তার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন এগিয়ে আসলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাদের ডাক চিৎকারে আমার পুত্রবধু ঠেকাতে আসলে লম্পট হিমেল তার পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীতাহানী ঘটায়। সে সময় তার গলায় থাকা ৯০ হাজার টাকা মূল্যে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তার পুত্রবধু মাটিতে পড়ে গেলে তার বুকের উপর উঠে দুবাই চটকাইয়া তার গলায় পায় দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ল্লেখিত হিমেল একজন লম্পট প্রকৃতির ছেলে। ইতোমধ্যে কলারোয়ার গয়ড়া বাজারের মায়ের হাসি নার্সিং হোমের সেবিকাকে কুপ্রস্তাব দিলে ওই নার্স থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে বসাবসি করে সমাধান করা হয়। এছাড়াও গয়ড়া বাজারের মফিজুলের সারের দোকানের ম্যানেজার কে মারপিট করে টাকা ছিনতাইসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হয়েও ওই সন্ত্রাসী প্রকৃতির পরিবারের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। ওই সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্য কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা ও এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মারপিটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করেছেন।