নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ডিজিটাল প্রতারণায় এক ফ্রিল্যান্সারের খোয়া গেলো ৫০ হাজার টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে এধরনের ফাঁদে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই ফ্রিল্যান্সার গোলাম মোস্তফা। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আমিনুল ইসলামের পুত্র। এঘটনায় ব্যাক ব্যাংকের অজ্ঞাত কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে মর্মে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ফ্রিল্যান্সার গোলাম মোস্তফা। যদিও এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন যার নং- ৪১৫, তাং- ১০ মে ২০২০। ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ফ্রিল্যান্সার পেশায় জড়িত। সম্প্রতি Chanchol Rahman যার প্রোফাইল লিং- https://www.facebook.com/losser.king.376043?_rdc=1&_rdr নামক একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে তার কাছ থেকে ৬৫০ ডলাল ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত ০১৬৩৬-৫৭৩৯৬৮, ০১৬৩৬ ৫৭৩৯৬৯, ০১৬২০- ৩৯৮২৭৯ থেকে কয়েকবার মোবাইলেও যোগাযোগ করেন। গোলাম মোস্তফা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে পাঠানোর পর ওই ব্যক্তি ব্যাক ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সপার করেন। সে অনুযায়ী ব্যাক ব্যাংক এর নাম্বার থেকে মোবাইলের মাধ্যমে গোলাম মোস্তফার(ব্র্যাক ব্যাংক একাউন্ট নং- ৫৮০১২০২৬০০৫৯৮০০১) মোবাইলে ৫০ হাজার টাকার একটি ম্যাসেজ আসে। পূর্বেই তার একাউন্ট থেকে উঠানো বা লোড করলে একইভাবেই ম্যাসেজ আসতো। যে কারণে তিনি ব্যালেন্স চেক না করে ওই ব্যক্তিকে ৬৩২ ডলার ট্রান্সপার করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যালেন্স চেক গোলাম মোস্তফা বুঝতে পারেন সেখানে কোন টাকা যোগ হয়নি এবং ওই টাকার ট্রান্সপারের ম্যাসেজটি ভূয়া। এরপরই ওই ফেসবুক আইডি থেকে গোলাম মোস্তফাকে ব্লাক করে দেওয়া হয় এবং সব কয়টি মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান। ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফাসহ অন্যদের প্রশ্ন যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কারে সাথে যোগসাজস না থাকবে তাহলে অন্য নাম্বার থেকে ম্যাসেজ আসতে পারতো। কিন্তু সেটি না হয়ে ব্যাক ব্যাংকের নাম্বার থেকেই ম্যাসেজটি কিভাবে আসলো। ইতোপূর্বে তিনি যতবার ব্যাংকে লেনদেন করেছেই একই নাম্বার থেকেই ম্যাসেজ এসেছে। তাহলে ব্যাংক কর্তৃক কিভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন। এদিকে, দেশের এই পরিস্থিতিতে এধরনের ফাঁদে পড়ে অর্ধ লক্ষ টাকা খুইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই ফ্রিল্যান্সার গোলাম মোস্তফা। এবিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশের দায়িত্ব প্রাপ্ত আইসিটি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যদিও ব্র্যাক ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আরো অনেকেই অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কিভাবে এটি হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। গ্রাহকরা আপনাদের কাছে চোখবুঝে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা রাখছেন অথচ এধরনের ঘটনায় আপনাদের কি পদক্ষেপ এমন প্রশ্নের কোন সদুউত্তর দিতে পারনেনি তিনি।