ডেস্ক রিপোর্ট: কিছুতেই থামছেনা অস্ত্রের ঝনঝনি, লুটপাট, ঘরবাড়ি ভাংচুর আর ঘেরদখল। রাত হলেই একদল দূর্বত্তরা বাংলা ছবির মত ফ্লিম স্টাইলে দেশি অস্ত্র রামদা, চাইনিচকুড়াল,হকস্টিক নিয়ে চলছে মহড়া। প্রতিরাতে চলছে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে লাইট মেরে ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে আতংকিত হয়ে পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এমননি অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের সরবত মোল্যা হত্যা মামলার আসামী গদাইপুর গ্রামের জুলির স্ত্রী স্বপ্না, জামারুলের স্ত্রী তন্বী, সামাদের স্ত্রী বেবী, ইউসুফের স্ত্রী শনিফা, হুমায়ুনের স্ত্রী নিলুফা, হাবিলের স্ত্রী মরিয়ম, বাচ্চুর স্ত্রী মাসুমা খাতুন।
তারা আরো জানান, গত ১০ এপ্রিল সংঘর্ষের পর ১১এপ্রিল রাতে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সরবত মোল্যা। নিহতের ছেলে সবুজ বাদি হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকে প্রধান আসামী করে তিনজন ইউপি মেম্বরসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ মামলা করে। সে থেকে আমাদের স্বামীরা বা আমরা কেউ তাদের ভয়ে বাড়ি যেতে পারিনি। চেয়ারম্যান ডালিমের স্ত্রী আঁখি খাতুন জানান, ঘটনার রাতে অহিদুল মোল্যা ও কুদ্দুস মোল্যার নেতৃত্বে তার বাড়ি,৫টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার ভাংচুরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দলিলসহ সব সকল মালামাল লুটপাট করা হয়।
এছাড়া প্রতিরাতে আমাদের লোকজন পালাতক থাকায় তাদের বাড়ি, দোকানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মহিলাদের ওপর নির্যাতন করছে। লম্বা খোকনের ৮টি গরু, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল শেখের একটি মোটরসাইকেল ও ৩টি গরু চুরি, মনো গফ্ফার মোল্যা, বাচ্চু, ছোটনুনু, জামারুল, সিরাজুল, মোহাম্মদ পুলিশ, নুর ইসলাম, মোস্তাকিম, আনারুল মোল্যা, মহিদুল্লাহ, সাইফাল, কামরুল, জামসের, শেখ কামরুল, তুহিন, শফিকুল সরদার, আব্দুল সালাম, ওয়েজ কুরুনী, সিরাজুল ইসলাম, সেলিম ও রাব্বির বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, দোকান ভাংচুর লুটপাট,গরু-ছাগল-হাঁসমুরগি লুটপাট/চুরি, মৎস্যঘের লুটপাট ও নগদ টাকা লুটপাট করে চলেছে। এ পর্যন্ত ২০টি গরু, ৮০ বস্তা ধান, ৩টি মটর সাইকেল, বহু হাঁসমুরগি-ছাগল, স্বর্ণালঙ্কার, অন্যান্য মূল্যবান মালামাল, মাছের ঘেরের মাছ লুটপাট করা হয়েছে। রাতে আঁধারে তারা মাছের ঘেরে লুটপাট, ঘুনি দিয়ে ভোরে মাছ ঝেড়ে নেচ্ছে। এছাড়া পুরুষ শূন্য বাাড়িতে গিয়ে ভাংচুর, মহিলাদের মারপিট করে লুটপাট করছে তারা।
জুলফিকার আলী জুলির স্ত্রী জানান, আমাদের মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেও ক্ষান্ত হয়নি বরং তার মৎস্য ঘের ও চেয়ারম্যানের ডিপঘের লুটপাটের ষড়যন্ত্র করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এমনকি প্রতি রাতে ৫০/৬০টি লাইট মেরে হই দিয়ে আতংক সৃষ্টি করছে কুদ্দুস-অহিদের লোকজন। ফলে রাতে এলেই আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম জানান, আতংক সৃষ্টি করার কোন বিষয় আমার জানা নেই। আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব স্থানীয় থানার। তবে তদন্ত বাঁধাগ্রস্ত হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।