নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে সাবেক মেম্বরের নেতৃত্বে আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ওই কারখানা মালিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায়(ইফতারের পর) আশাশুনি উপজেলার দিঘলারআইট এলাকায় এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আলমগীর উপজেলার দিঘলারআইট এলাকার মৃত. দাউদ আলী সানার পুত্র। তিনি সাতক্ষীরা শহরের নবারুন মোড় এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা পরিচালনা করেন। আহত আলমগীর হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ইফতার করে নামাজ শেষে পাশর্^বতী বাজারে চা খাওয়ার জন্য যান। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বহুঅপকর্মের হোতা সুভদ্রাকাটি গ্রামের খালেক মোড়লের পুত্র সাবেক মেম্বর যুদ্ধাপরাধী সাঈদীমুক্ত মঞ্চের হোতা, কুখ্যাত সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বুলির নেতৃত্বে দিঘলারআইট এলাকার মৃত হযরত আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, মৃত. ছোবহানের পুত্র আসাদুল সানা, মৃত. হোসেন কলুর পুত্র মুছা কলু, মফেজউদ্দিনের পুত্র ছোরাফ, মৃত. রজব আলীর পুত্র হযরত আলী, মৃত. নূরুল সানার পুত্র নুরে আলম, বারিকের পুত্র হাসানসহ ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় ও দুই পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এতে আলমগীরের মাথায় ১১টি সেলাই এবং পায়ে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়ে। আহত আলমগীর হোসেন আরো বলেন, উক্ত বুলি মেম্বরের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। বিগত সময়ে প্রতাপনগরে সাঈদমুক্তি মঞ্চের নেতা ছিলেন। তিনি ওই বুলি মেম্বরসহ হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত সময়ে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।