করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাতক্ষীরাবাসীর জন্য আশু করনীয় নিয়ে কতিপয় প্রস্তাবনাসহ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি ,জাসদ,বাংলাদেশ জাসদ, জে এস ডি,গণফোরাম,সাম্যবাদী দল এর নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক স্মারকলিপি প্রধান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির আনোয়ার জাহিদ তপন, জাসদের শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জে এস ডি’র সুধাংশু শেখর সরকার, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলী, গণফেরামের আলীনুর খান বাবুল, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলাম। সাতক্ষীরাবাসীর জীবনের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে নি¤œলিখিত প্রস্তাবনা সমূহ, সাতক্ষীরা জেলার ২টি পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়নে মসজিদ মন্দির ও সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্লাবের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবন রক্ষার প্রচারনা বৃদ্ধি করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলার সকল সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা সচল রাখার জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করতে হবে এবং ৭টি উপজেলার সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নমুনার সংগ্রহের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সাতক্ষীরাবাসীকে ঘরে থাকার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করে সবাইকে চাল, ডাল, তৈল, চিনি, আটা সহ নিত্যপন্য রেশনিং এর মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধি, সকল রাজনৈতিক দলের অর্ন্তভূক্তি কি করে এবং সেনা বাহিনীর মাধ্যমে রেশনিং কার্ড করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রধান প্রধান বাজার গুলোতে টি.সিবি’র মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নের বাজারের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলার নামে ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে ফটোসেশন বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি সমন্বয় ঘটাতে হবে। জেলার দুগ্ধ খামার মালিক পোল্ট্রী খামার মালিক, আমচাষী ও মৎস্য চাষী ও ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট মিলসমূহকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই সেক্টরের শ্রমজীবীদের প্রতিমাসে পরিবার প্রতি আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। জেলার বাস, ট্রাক, মাইক্রো, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও ব্যাটারী ভ্যান চালক ও হোটেল শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের বিকাশ একাউন্টে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রত্যেক শ্রমিকদের নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করে জেলার একটি তথ্য সেল খুলতে হবে এবং প্রতি সপ্তাহে জেলার কতজন ব্যক্তি বা পরিবার কে সরকারী ভাবে সহযোগিতা করাহল তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি