আশাশুনি

আশাশুনিতে ভাঙনকবলিত কপোতাক্ষ নদে বালি উত্তোলনের অভিযোগ

By daily satkhira

May 16, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : নাশকতার মামলার আসামী ও নব্য আওয়ামী লীগার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের শ্রীপুর লঞ্চঘাটের তিনশত গজ উত্তরে ভাঙন কবলিত এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এ বালি তিনি কুড়িকাহনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তার নিচু জমি ভরাটের জন্য এ বালি ব্যবহার করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় আশাশুনির প্রতাপনগরের কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। যেনতেন প্রকারে ওই বাঁধ সংস্কার করার ফলে শ্রীপুর লঞ্চঘাটার উত্তর পাশের গোলাপ ঢালীর বাড়ি থেকে সাত্তার গাজীর বাড়ি গত কয়েক বছরে তিন বার ভেঙে গেছে। বর্তমানে কপোতাক্ষের প্রবল জোয়ারের সাথে ঝড়ো হাওয়া হলে ওই এলাকা আবারো ভেঙে কুড়িকাহনিয়া ও শ্রীপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। সোহরাব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল ইসলাম বুলি ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি পরবর্তী দেশব্যাপি সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত অধ্যুষিত প্রতাপনগরের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাসহ আশাশুনি সদরের কয়েকটি নাশকতার মামলার আসামী ছিল রফিকুল ইসলাম বুলি। পরবর্তীতে বেগতিক বুঝে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক বনে যান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি ইউপি সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। বুধবার থেকে তিনি কপোতাক্ষ নদের শ্রীপুর লঞ্চঘাটের তিনশত গজ উত্তরে ভাঙন কবলিত এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন শুরু করেছেন। ওই বালি তিনি পাইপের মাধ্যমে কুড়িকাহনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তার পৈতৃক নীচু জমি ভরাটে ব্যবহার করছেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী মানুষের কাছে বালি বিক্রির চেষ্টাও করছেন। অবিলম্বে এ বালি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে ভাঙন কবলিত শ্রীপুর লঞ্চঘাটার উত্তর পাশের গোলাপ ঢালীর বাড়ি থেকে সাত্তার গাজীর বাড়ি পর্যন্ত যে কোন সময় ভেঙে যেয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বুলি’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।#