আশাশুনি

প্রধানমন্ত্রীর নামে কটূক্তি ; জামায়াত-বিএনপির ৩ জনসহ ১০/১১ জনের নামে আশাশুনি থানায় অভিযোগ

By Daily Satkhira

April 28, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের তিন জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বড়দল গ্রামের মৃত দাউদ আলী মালীর ছেলে ও স্থানীয় ইউনিয়ন স্বোচ্ছসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মালী বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামালার আসামীরা হলেন, বড়দল গ্রামের রফিকুল সানার ছেলে সুমন সানা (৩০), একই গ্রামের আফসার সরদারের ছেলে আয়ুব সরদার ও মৃত এজাহার গাজীর ছেলে  শামছুদ্দীন গাজী (৫০) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন। মামলার অভিযোগে বাদী নুরুজ্জামান মালী উল্লেখ করেছেন, গত ২৬ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বড়দল খেয়াঘাটস্থ বাজারের পাশে বসে উল্লেখিত সুমন সানা, আয়ুব সরদার ও শামছুদ্দীন গাজীসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন এলাকায় নাশকতা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার জন্য গোপন বৈঠক করতে থাকেন। এ খবর শুনে আমি সেখানে গেলে তারা আমাকে (প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার)….. (অশ্লীল…ছাপার অযোগ্য)’র সাঙ্গ পাঙ্গরা বলে কটুক্তি করতে থাকেন। আমি এর  প্রতিবাদ করলে তারা আমাকেসহ এই অভিযোগ পত্রের এক নম্বর স্বাক্ষী আব্দুল আজিজকে সময় সুযোগ পেলে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করেন। পরে এই অভিযোগ পত্রে উল্লিখিত ১০ জন স্বাক্ষীসহ আরো অনেকে সেখানে উপস্থিত  হলে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তি বর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। উক্ত অভিযোগ পত্রে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১০ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। এলাকার সচেতন মহল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিতদন্ত) জুলফিকার আলী জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেকেই এসে অভিযোগ পত্রটি দিয়ে গেছেন। ইতিমধ্যে এ অভিযোগ পত্রটি তদন্ত করা জন্য এস আই সুধাংশ শেখরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, তদন্ত করে অভিযোগ পত্রের সত্যতা পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য ঃ অভিযোগ পত্রে উল্লিখিত তিন জনই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের  অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা ও চাঁদাবাজীর হাত থেকে রক্ষা পেতে  ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় আইজিপি, মাননীয় ডিআইজিসহ সকরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসী আবেদন করলে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিদের্শে গত ২৩ এপ্রিল রোববার কালিগঞ্জ সার্কেল এএসপি জনাব মির্জা সালাহউদ্দীন বড়দল গ্রামের বাজারস্থ খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তার উপর বসে শত শত জনতার উপস্থিতিতে তদন্ত করেন, যা স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া উক্ত অভিযোগের ২ নং আসামি আয়ুব সরদার হিজবুল্লাহ যুব সংঘ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের সভাপতি।