ফিচার

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূল উত্তাল : ৪৩ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকপিূর্ণ

By Daily Satkhira

May 19, 2020

আসাদুজ্জামান: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদ-নদী। জোয়ারের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে। এর মধ্যে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। যদিও সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। তোলা হয়েছে লাল ফ্লাগ। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ শুরু করেছে প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার এক হাজার ২৭২টি আশ্রয় কেন্দ্র। মানুষকে সতর্ক করে চলছে মাইকিং। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিয়ে আতংকে আছে উপকূলের মানুষ। শ্যামনগর ও আশাশুনির অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যা মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ডাম্পিং করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, উপকূলে ইতোমধ্যে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমরা দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা থেকে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদে আনার কাজ চলছে। এজন্য ৫০টি বাস ও ১০০ ট্রলার রেডি করা হয়েছে। সকাল থেকে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কিছুটা বিঘিœত হচ্ছে। তিনি জানান, সন্ধ্যার আগেই গাবুরায় ১৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এছাড়া বাকী মানুষ ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজনসহ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সর্বত্র মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে। লাল ফ্লাগ উত্তোলন করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগ পূর্ব উদ্ধার করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উপকূলের ৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।