আসাদুজ্জামান : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে বেঁড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। ৯শ’ কোটি টাকার ২টি ও ১২শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেগুলোর কাজ শুরু হবে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ টেকসই করা হবে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীকে কাজ শুরু করবে। ১৯৬০ থেকে ৮০ সালে নির্মান করা এসব বেঁড়িবাধ মেরামত করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে গত ১০ বছর ধরে যেভাবে নদীর বেঁড়িবাঁধ ভাঙ্গছে, এর আগে কিন্তু এটা হতোনা। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে যাতে আর বেঁড়িবাধ না ভাঙ্গে সেভাবে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সময় কলবাড়ি লঞ্চ পল্টুনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভাঙনকবলিত জায়গায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য মাটি পাওয়া যাচ্ছেনা। এ সময় তার সাথে সফর সঙ্গি ছিলেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী রফিক উল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তা। এরপর মন্ত্রী আশাশুনি উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে সকাল ১০টায় সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা এলাকায় মন্ত্রী ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।