কলারোয়া প্রতিনিধি : অতিরিক্ত খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে মৎস্যঘেরের মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীর নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন, কলারোয়ার পুটুনি গ্রামের ডাঃ আবুল কালাম আজাদের পুত্র রেজাউল ইসলাম ময়না। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অত্যান্ত সুনামের সাথে অত্র এলাকায় মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছি। আমার পাশ্ববর্তী মৎস্যঘের ব্যবসায়ী ইলিশপুর গ্রামের মৃত. এলাহী বক্সের পুত্র নুর মোহাম্মদ পঁচার সাথে খুটি নাটি বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিন ওই নুর মোহাম্মদ পঁচার ঘেরের প্রচুর মাছ মারা যায়। ঘটনাটি জানারপর আমিও খুব ব্যথিত হয়েছি। এতগুলো মাছ একসাথে মারা যাওয়ার চিত্র দেখে আমার চোখে পানি এসে গেছে। কারণ আমিও একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। কত শ্রম ও অর্থ ব্যয়ের পর মাছ উৎপাদিত হয় তা ব্যবসায়ীরা যানে। পরবর্তীতে নুর মোহাম্মদ পঁচা তার ঘেরে গোপনে কেউ বিষ প্রয়োগ করে মাছ হত্যা করেছেন বলে দাবি করতে থাকেন। তিনি কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে আমাকে আসামী করা হয়েছে। অথচ উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। সবচেয়ে বড় কথা আমি একজন মৎস্য ব্যবসায়ী হয়ে অন্যের এতবড় ক্ষতি করার চিন্তাও করতে পারি না। অথচ আমাকে ওই ঘটনার সাথে জড়ানো হয়। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার ঘেরের বাসা থেকে ১২ হাজার টাকা আমি চুরি করেছি। অথচ ২০ মে আম্পান ঝড়ে তার ঘেরের বাসাটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। ঘটনার ৪ দিন পর সেখানে টাকা আসলো কিভাবে। আমরা খোঁজ নিয়ে যতদূর জেনেছি, নুর মোহাম্মাদের ঘেরের ভেড়ীতে আনুমানিক ৬০ বস্তা নিজস্ব কাটানো ডোবা খাদ্য রাখা ছিল। যা পচা বিস্কুট ও পচা শুটকি মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। গত ২০ মে ঘটে যাওয়া আম্পান ঝড়ে ভেড়ীর উপর রাখা ওই ৬০ বস্তা খাদ্য তার ঘেরের মধ্যে পড়ে যায়। অতিরিক্ত খাদ্য ঘেরের মধ্যে পড়ে বিষক্রিয়া তৈরি হওয়ায় অক্সিজেন বন্ধ হয়ে মাছগুলো মারা গেছে। ধারনা করছি বাইরে থেকে কেউ বিষ প্রয়োগ করেনি। তার ঘেরে সার্বক্ষনিক পাহারাদার রয়েছে। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসাবে মনে করি ঘটনার সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তার কঠোর শাস্তি হোক। কিন্তু তাই বলে কোন নিরাপরাধ মানুষ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির স্বীকার না হয়। এব্যাপারে তিনি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনার উৎঘটন এবং তার বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।
২৯.৫.২০২০