সাতক্ষীরা

আগরদাড়ীতে নাশকতার আসামী কর্তৃক মারপিটের ঘটনায় মামলা

By daily satkhira

May 31, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস দুর্যোগ মোকাবেলার এমন সময় নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে ছোট খোকন ও তার রোকজন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ মারপিট, লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত ইসহাক সরদারের পুত্র ইনছুর আলি সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। উক্ত ঘটনায় আসামীর একটি মটরসাইকেল জব্দ করেছেন পুলিশ। এজাহার সূত্রে জানাগেছে পূর্বে শুত্রতার জের ধরে ৩১ মে বেলা অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নাছের সরদারের পুত্র ছোট খোকন ও তার লোকজন জনতায় দলবদ্ধ ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লোহার রড, লাঠিশোঠা, রামদা নিয়ে সিটি কলেজের পিছনে ইনছুর আলির মুদি দোকানের মধ্যে অনাধিকার প্রবেশ করে ছোট খোকন লোহার রড দিয়ে ইনুছুর আলির শরীরে ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত করে এবং হাতে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে দোকানের মালামাল ভাংচুর করিয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন ও ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা লুটপাট করে নিয়ে নেয়। এসময় ইনছুর আলির স্ত্রী নাছিমা বাঁধা দিলে তাকে বেদম মারপিট করে ফোলা জখম করে এবং তার কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীতাহানী ঘটায় ছোট খোকনের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে বড় খোকন। এছাড়াও ছোট খোকনের লোকজন ইনছুর আলির স্ত্রী নাছিমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নিয়ে ইনছুর আলির ও তার পরবারের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ইনছুর আলির ও তার স্ত্রী নাছিমা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নেয়। ঘটনায় ইনছুর আলি বাদি হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার করেন। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আসামীদের না পেয়ে ১নং আসামী ছোট খোকনের ওয়ান টেষ্টস একটি মটরসাইকেল জব্দ করে বলে এলাকাবাসি জানান। এদিকে ইনছুর আলি জানান ছোট খোকন একজন মাদক ব্যবসায়ী, বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি ও একাধিক নাশকতাসহ নারী কেলেংকারী, সাংবাদিকের উপর হামলার মামলার আসামী। ছোট খোকন সব সময় এলাকার সাধারণ মানুষের উপর বিনা কারণে অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট করে থাকে। ছোট খোকন ও তার লোকজনের সন্ত্রাসীর কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ সব সময় আতঙ্ক থাকে। ছোট খোকন ও তার লোকজনের ভয়ে এলাকাবাসি কেউ প্রতিবাদ করতে ও অভিযোগ দিতে সাহস পায় না। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও ইনছুর আলির পরিবার।

৩১.৫.২০