শ্যামনগর প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নওয়াবেঁকীতে ডাঃ ফার্নান্দো নব্রে মাদার এ্যান্ড চাইল্ড হেল্থ কেয়ার এ্যন্ড জেনারেল হাসপাতালে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টের পরিবর্তে মোবাইল নম্বর দিয়ে রুগীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ জুন) পদ্মপুকুর গ্রামের ইয়াছিন আলী জানান, তার স্ত্রী আছমা খাতুন (২৫) কে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে নওয়াবেঁকীতে অবস্থিত বে-সরকারী সংস্থা ধারা পরিচালিত ডাঃ ফার্নান্দো নব্রে মাদার এ্যান্ড চাইল্ড হেল্থ কেয়ার এ্যন্ড জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। যার লাইসেন্স নং-৩৬৭৫। পল্লী চিকিৎসক পবিত্র কুমার মন্ডল নিজে আছমা খাতুনকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে ৩ শত টাকা দাবী করেন। ইয়াছিন আলী ২ শত টাকা দিয়ে রিপোর্টটি চাওয়ায় পবিত্র কুমার মন্ডল ১ শত টাকা ফেরত দিয়ে রিপোর্ট দেন। হাসপাতালের প্যাডে রিপোর্টে শুধুমাত্র ২ টি মোবাইল নং-০১৭১৪-৫০৯২০৫, ০১৯৮১-২৭৮৪১৭ লিখে ইয়াছিন আলীকে দেন। ইয়াছিন আলী রুগীর অবস্থা রিপোর্টের আলোকে জানতে চাওয়ায় পল্লী চিকিৎসক পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, রিপোর্ট দিয়ে দিছি, রুগীর অবস্থা খুবই খারাপ, জরুরী ভিত্তিতে সিজার করতে হবে। ইয়াছিন আলী ডাক্তারের রিপোর্টটি ডাঃ আব্দুল হামিদ (এম,বি,বি,এস) এর নিকট দেখালে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। রিপোর্ট নয় শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় দরিদ্র অল্প শিক্ষিত ব্যক্তিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রতারিত হচ্ছে জনসাধারন। পল্লী চিকিৎসক হয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা বা রিপোর্ট করা সরকারী আইনের পরিপন্থি হওয়ার সত্বেও ভয় দেখিয়ে ক্লিনিক ব্যবসাকে সচল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ডাঃ ফার্নান্দো নব্রে হাসপাতালের কর্মরত পল্লী চিকিৎসক পবিত্র কুমার মন্ডল। পল্লী চিকিৎসক পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফির ফি ৩ শত টাকা বলে তার মোবাইল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।