দেবহাটা

দেবহাটায় ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ পরিদর্শনে আ’লীগ সভাপতি

By daily satkhira

June 04, 2020

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা এলাকায় প্রবল ঘূর্নিঝড় আম্ফানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নদী ইছামতি নদীর ভাঙ্গন কবলিত ঝুকিপূর্ন ভেড়িবাধ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহম্মেদ এবং দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। ঘূর্নিঝড় আম্ফানে এ ভেড়ীবাধটি ভেঙ্গে গিয়ে ঐ এলাকাটি প্লাবিত হয়। এই ভাঙ্গনের কারনে বাধটি ঝুকিপূর্ন হয়ে যাওয়ায় ঐ এলাকার মানুষেরা একটি অজানা আশঙ্খার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন। তারা ছেলে মেয়ে, গবাদী পশুসহ জিনিষপত্র নিয়ে বিপদে রয়েছেন। এই ভাঙ্গনে পাশর্^বর্তী আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষ গবাদি পশু, ঘের ও ফসলফলাদী নিয়ে বিপদের ঝুঁকিতে রয়েছেন। সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য তাদের খাওয়া ঘুম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু প্রায় ২ সপ্তাহ পার হতে চললেও পাউবো বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বাধ মেরামতে কোন পদক্ষেপ এখনো গ্রহন না করায় ভাতশালাসহ ঐ গ্রামগুলির মানুষ হতাশ। যার কারনে বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে সাড়ে ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা আঃলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহম্মেদ এবং দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি ভাতশালার ভাঙ্গন কবলিত ভেড়ীবাধটি পরিদর্শন করেন। এসময় তাদের সাথে জেলা পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ আল ফেরদাউস আলফা, দেবহাটা ইউপি চেয়াম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা আঃলীগের নেতা শরীফ বিশ^াস, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঝড়ের রাতে ঐ এলাকার সাধারন মানুষ নিজেদের শ্রমে ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি কোনরকমে মেরামত করলেও তাদের মধ্যে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। বড় ধরনের জোয়ার সৃষ্টি হলে ঐ বাধটি ভেঙ্গে পুনরায় প্লাবিত হতে পারে কয়েকটি গ্রাম। স্থানীয়রা জানান, আগামী ৩/৪ দিন পরে বড় ধরনের গোন উঠবে, আর সেসময় হয়তো তারা প্লাবিত হতে পারেন। তাই এক অজানা আশঙ্খায় তারা দিনযাপন করছেন। এসময় এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা আঃলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অতি দ্রুত বাধ মেরামতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। আপাতত ২/১ দিনের মধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে বাধ প্রটেকশন দেয়া হবে বলে তারা আশ^স্থ করেন। তবে বর্তমান নদীতে জোয়ারে পানি বেশি হওয়ায় অধিকাংশ বেড়িবাধ নাজুক হয়ে দাড়িয়েছে। তাই অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য দাবী জানানো হয়েছে।