নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলার তালা উপজেলায় ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে পৈত্রীক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মানের আভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। দখলকারিরা এতই ভয়ংকর তারা আদালতের আদেশ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আদেশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আদেশ উপেক্ষা করে ঘর নির্মান করে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। আদালতে মামলা সুত্রে জানা যায়,তালা উপজেলার বিশ্বেসের চক গ্রামে রাজাপুর মৌজায় ৪২১ খতিয়ানে সাবেক১৮২৭,২৮,২৯ ও ১৮১৭ দাগে মোট সম্পত্তি ছিলো নয় একর ৯২ শতক যার ১৯৬২ সালে রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন রাম নারায়ন গাইন। তার মৃত্যুর পর প্রত্যেক ছেলে তিন একর ৩০ শতক করে মালিক হন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জরিপে তিন সন্তান মালিক হন। কিন্তু বাস্তু ভিটা থেকে বাটোয়ারার সময় অভিলাশ ও অতুল গাইনের নামে ৭৪ শতক জমি ক্রয় করে এবং ভুলবশত অম্বিকা গাইনের নামে ৫৪ শতক জমি রেকর্ড হয়। ২০০১ সালে অম্বিকা গাইন মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মঙ্গল গাইন উক্ত সম্পত্তির মালিক হন। তিনি নিজে অসুস্থ ও তার একমাত্র ছেলে কমলেশ গাইন বাহিরে থাকার সুযোগে একই এলাকার মনিন্দ্রনাথ গাইন, সত্যরঞ্জন গাইন, সুদর্শন গাইন উভয় পিতা মন্দিদ্রনাথ গাইন, সন্তোশ কুমার গাইন, চঞ্জল গাইন তার সম্পত্তির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা জোর পূর্বক ৫৬ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করে ঘর নির্মান করছে। বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। কমলেশ গাইন বলেন তারা এলাকায় ভুমিদস্যু হিসেবে চিহিৃত। সম্প্রতি খেশরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের উপস্তিতিতে মাপ জরিপ হলেও তারা মানেনি। উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব হোসেন রাজু জানান, উভয় পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হলেও বিবাদী পক্ষ হাজির হয়নি। করোনার কারনে বিষয়টি থেমে আছে। বিষয়টি দ্রুত দেখা হবে বলে তিনি জানান। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, আদালতের নির্দেশে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কমলেশ গাইন পৈত্রিক সম্পত্তি যাতে ফিরে পেতে পারে সে জন্য তিনি জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।