সাতক্ষীরা

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ

By daily satkhira

June 12, 2020

জি.এম আবুল হোসাইন : সাতক্ষীরায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন’র সহযোগিতায় গুড কজ ক্যাম্পেইন প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ হয়েছে।

৩০ ও ৩১ মে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা বিতরণ কার্যক্রম শেষ হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র সাতক্ষীরা প্রকল্প অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার ও ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী, বৈকারী, ঝাউডাঙ্গা, ফিংড়ি ও ভোমরা ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৯১৭জন শিশুর পরিবারে নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি পরিবারে ৩টি করে সাবান ও ২রকম হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ বিকাশ, নগদ, শিওরক্যাশ ও রকেট মোবাইল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৩হাজার ৫শত টাকা ও চার্জসহ প্রদান করা হয়েছে।

নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী শিশু সাগর দাস (১৪) ও তার পরিবার। তারা জানায়, ঘূর্নিঝড় আমপানে তাদের ঘরের চাল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় নগদ অর্থ দিয়ে ঘর মেরামত করবে। বাকি টাকা দোকানের ধার পরিশোধ করবে। এমন দুঃসময়ে তাদের মত শিশুর পাশে থাকায় তারা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও সেভ দ্য চিলড্রেন কে ধন্যবাদ জানান।

ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা মোছা. রেহেনা বেগম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ কাম নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ সময়ে বাড়িতে বসে থাকি। সরকারি বে-সরকারি সাহায্য সহযোগিতা আমার মত গরিবের ভাগ্যে খুব কমই জোটে। এমন পরিস্থিতিতে আমি খরচ বাদে সাড়ে ৩হাজার টাকা পেয়েছি। এখন কিছু চাল, ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারব।

ফিংড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণচুড়া শিশু ক্লাবের সভাপতি মো. সিহাব সিদ্দিকী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নগদ টাকা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পেয়ে দারুনভাবে উপকৃত হয়েছি। নিয়মিত হাত ধোঁয়ার জন্য সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারব।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, সংস্থাটি দীর্ঘদিন শিশুদের নিয়ে সাতক্ষীরাতে কাজ করছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিটি শিশুর বাড়িতে পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ ও সুপার সাইক্লোন আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসব শিশুর পরিবার কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে।

উল্লেখ্য শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা ও খেলাধুলার মাধ্যমে অনিরাপদ স্থানান্তর প্রতিরোধে প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে সদরের কুশখালী, ঝাউডাঙ্গা, বৈকারী, ফিংড়ি ও ভোমরা ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রকল্পের মেয়াদ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়। তবু থেমে নেই এর কার্যক্রম। স্থানীয় দাতা সদস্যদের সহযোগিতায় এটি ২০২১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নে সিএমসি, ইউনিয়ন পরিষদ ও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র সাথে ত্রৈপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ও উপকরণ হস্তান্তর হওয়ায় বর্তমানে এটি কমিউনিটির উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।