দেশের খবর : গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হয়েছিল চীন থেকে। সেই দেশটি একে একে ১৮টি দেশের পেছনে পড়ে গেল। এবার আক্রান্তের সংখ্যায় তাদের পেছনে ফেলল বাংলাদেশও।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ৮৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।
চীনে মোট কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছিল ৮৪ হাজার ১৯১ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১ হাজার ১৩৯ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বের নমুনাসহ ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ১১ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ১৩৯জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন, সিলেটে ২ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, বরিশালে ৪ জন, রংপুরে একজন ও খুলনায় একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে২৭ ও বাসায় ১৪ জন মারা গেছেন। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন ৩ জন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।